গোরা উপন্যাসের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটাতে চেয়েছেন?
![]() |
গোরা উপন্যাসের মধ্য দিয়ে ভারতের জাতীয়তাবাদের বিকাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান |
ভূমিকা:-
ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলা তথা ভারতের জাতীয়তাবোধ ও স্বদেশপ্রেমের ভাবধারা প্রসারের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অস্মরণীয়। তার পুত্র রথীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করা এই উপন্যাসটি দেশবাসীকে স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
প্রকাশকাল:-
রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘতম ও শ্রেষ্ঠতম উপন্যাস গোরা “প্রথমে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রবাসী পত্রিকায় এবং ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয়”।
জাতীয়তাবোধ বিকাশে অবদান:-
1. জাতীয়তাবাদ বীজ সৃষ্টি:- জাতীয়তাবাদ এবং দেশপ্রেমবোধ শুধু গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে পারে না। এ সাম্প্রদায়িকতার আবহে, জাতীয়তাবাদের বীজ যে লুকিয়ে আছে তা এই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে।
2. হিন্দু জাতীয়তাবাদ:- ব্রাহ্ম সমাজের সাথে হিন্দু সমাজের বিরোধের প্রশ্নে হিন্দু সমাজের ঐতিহ্য ও দর্শন উপন্যাসটি কিছু অংশ বর্ণিত রয়েছে। তাই হিন্দু জাতীয়তাবাদ সৃষ্টিতে এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
3. সংকীর্ণ জাতীয়তা বোধ নিরসন:- উপন্যাসটির শেষ পর্বে গোরার অভিব্যক্তির মধ্য দিয়ে ভারতের জাতীয়তাবাদের মূল সুরটি ব্যঞ্জনাময় হয়ে উঠেছে। যে গোরা হিন্দু সমাজের প্রধান রক্ষক ছিলেন, সেই গোরাই তার জন্ম বৃত্তান্ত জানার পর বলে- “আজ এমন শুচি হয়ে উঠেছি যে চন্ডালের ঘরেও আমার আর অপবিত্রতার কোন ভয় রইল না”। এছাড়া তিনি বলেন- আমি আজ ভারতবর্ষীয়। আমার মধ্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান কোন সমাজের কোন বিরোধ নেই। আজ এই ভারতবর্ষের সকল জাতিই আমার জাত।
4. জাতীয়তাবাদের স্বরূপ ব্যাখ্যা:- জাতীয়তাবাদ কী, তার স্বরূপ কী হতে পারে তার ব্যাখ্যা ও বর্ণনার মধ্য দিয়ে গোরা উপন্যাসটি জাতীয়তাবাদের আদর্শ ভারতীয় সমাজের সামনে তুলে ধরেছেন।
মন্তব্য:-
আরও জানুন: