রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাভাবনায় প্রকৃতি ও পরিবেশের ভূমিকা লেখ।
ভূমিকা:-
প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে মানুষের জীবন ও অস্তিত্ব ঘনিষ্ট ভাবে যুক্ত। একথা রবীন্দ্রনাথ মর্মে মর্মে অনুভব করেছিলেন। তাই তার শিক্ষা ভাবনায় প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছে।
1. পরিবেশ সচেতনতার প্রকাশ:-
তিনি তার বিভিন্ন সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে দেখিয়েছেন প্রকৃতি ও পরিবেশকে মানুষ কিভাবে অবহেলা করেছেন। কারণ জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে প্রকৃতি ও পরিবেশ। এই উপলব্ধির পর তিনি তার শিক্ষাভাবনায় প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলেন।
2. নাগরিক জীবনের ভূমিকা:-
তিনি নাগরিক জীবনের ভূমিকায় বিরোধিতা করে নগর জীবনকে প্রকৃতি ও পরিবেশের বড় শত্রু বলে মনে করেন। তার কাব্যিক ভাষায় “ইটের মাঝে ইট, মাঝে মানুষ কীট, নেইকো স্নেহ, নেইকো ভালোবাসা”। এই জন্য তার শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা শান্তিনিকেতনে।
3. গ্রাম্য জীবনকে সমর্থন:-
তিনি ইট কংক্রিটের নগরের পরিবর্তে গাছপালায় ঢাকা গ্রাম বাংলার বিষয়ে তার শিক্ষা নীতিতে গুরুত্ব দিয়েছেন।
4. অরণ্য রক্ষা:-
তিনি অরণ্য রক্ষার বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর ছিলেন, এই তৎপরতার পূর্ণ প্রতিফলন পরে তার শিক্ষাভাবনায়। তার মতে- অরণ্য জীবজগতে অস্তিত্ব রক্ষা করে।
5. বৃক্ষরোপণ:-
তিনি পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে বৃক্ষ রোপনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি শান্তিনিকেতনে “বৃক্ষ রোপনের” উৎসবের সূচনা করেন। তার মৃত্যু দিবস 22 শে শ্রাবণ দিনটিকে শান্তিনিকেতনের আশ্রমে বৃক্ষ রোপন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।