WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now
YouTube Channel
Subscribe

হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে উনিশ শতকের সমাজ চিত্রের বিবরণ দাও।

'হুতোম প্যাঁচার নকশা' গ্রন্থের উনিশ শতকের সমাজ চিত্রের বিবরণ দাও।


 ভূমিকা:
 কলকাতার জোড়াসাঁকোর দেওয়ান বিত্তশালী সিংহ পরিবারের সন্তান কালীপ্রসন্ন সিংহ (১৮৪০-৭০)। তিনি ছিলেন সমাজসেবক, বিদ্যোৎসাহী , বুদ্ধিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। সমকালীন কলকাতার বাবু সমাজে আচার কালচার রসাত্মক ভঙ্গিতে লিপিবদ্ধ করেছেন তার প্রথম হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থ।

প্রকাশকাল: 
এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ একত্রে প্রকাশিত হয় ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে।

বিষয়বস্তু:

কলকাতার সমাজজীবন: 
এই গ্রন্থে তিনি দূরে দূরে ফুটিয়ে তুলেছেন সমকালীন কলকাতার বাবুদের সমাজ জীবনে দুর্নীতি, কপটতা, ভন্ডামীর বিরুদ্ধে শাসিত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ছাড়াও মেম সাহেব পরিবর্তে জমিদার, মাতাল, উমেদারহঠাৎ অবতার ব্রাহ্মণ, পাদ্রী, কবি, ফোঁটা তিলক কাটা বোষ্টম, ভিকারি, প্রমুখের কার্যকলাপ গত বৃত্তান্ত।

সমাজ বিন্যাস: 
গ্রন্থটিতে তুলে ধরা হয়েছে ইংরেজি জানা ও না জানা শ্রেণি বৃত্তন্ত তিন শ্রেণীর মানুষের কার্যকলাপ।

(১) ইংরেজি শিক্ষিত সাহেবি চালচলনের অন্ধ অনুকরণকারি।
(২) ইংরেজি না জানা গোঁড়া হিন্দু সমাজ।

পূজা পার্বণ: 
লেখক তাঁর গ্রন্থে তুলে ধরেছেন দুর্গোৎসব, মহেশের রথ যাত্রা, আসর ছেলে ধরা , রামলীলা, গঙ্গায় নৌকা বিলাস , চরকা পার্বণ ইত্যাদি।

সচেতনতা দিক: 
গ্রন্থটিতে দেহকে সচেতনতার দিকের মধ্যে রয়েছে শিক্ষিকা, বিধবা বিবাহ প্রবর্তন ছাড়াও সমাজ ধর্ম ও রাজনীতি যেখানে তিনি ভন্ডামি দেখেছেন সেখানে তিনি তীব্র বিদ্যুৎ বর্ষণ করেছেন তার বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন।

মূল্যায়ন
সুতরাং নিম্নে বলা সং কত হবে যে সমাজ চেতনা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের কষাঘাত, হাস্যরস সৃষ্টি, চলতি ভাষা ব্যবহারে টন পূর্ণ এবং জীবন জগতে দেখা ও সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি সব মিলিয়ে এ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্য এক অসামান্য সৃষ্টি।

আরো দেখুন :
■ More Posts from -
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url