গ্রিন হাউস গ্যাস- গ্যাসগুলির উৎস, প্রভাব ও ফলাফল, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যবস্থাসমূহ আলোচনা করো।

Arpan

গ্রিন হাউস গ্যাস- গ্যাসগুলির উৎস, প্রভাব ও ফলাফল, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যবস্থাসমূহ আলোচনা করো। 

বন্ধুরা আজকে আমি নিয়ে এসেছি বিজ্ঞান এর একটি গুরুত্বপূর্ণ topic নিয়ে। এই topic টি তোমরা ভূগোলে দেখতে পাবে। এটি খুবই একটি মজাদার topic আজকে আমরা আলোচনা করবো গ্রিন হাউস গ্যাস সম্পর্কে। আজকে আমরা গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির উৎস (Source of Green House Gases)গ্রিন হাউস প্রভাব (Green House Effect), গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলাফল (Consequences of Green House Effect), গ্রিন হাউস প্রভাব নিয়ন্ত্রণকারী ব্যবস্থাসমূহ (Management of Green House Effect) সবকিছু নিয়ে আলোচনা করেছি নিচে।এটি মাধ্যমিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তরটি আমার খুবই উপকার করেছে। তো বন্ধুরা তাই বলছি আপনারাও এই প্রশ্নের উত্তরটি অনুসরণ করুন অবশ্যই। যদি আপনার উত্তরটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি সেভ করে রাখতে পারেন এবং বাকি বন্ধুদের share করতে পারেন।

গ্রিন হাউস গ্যাস (Green House Gas)

গ্রিন হাউস (Green House)

শীতপ্রধান দেশে কাচের ঘরের সাহায্যে সৌরশক্তিকে আটকে রেখে উদ্বৃতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে গ্রিন হাউস প্রভাব বলে। উদ্ভিদ প্রতিপালনের জন্য নির্মিত এই বিশেষ ধরণের ঘরকে বলা হয় সবুজ ঘর বা গ্রিন হাউস (Green house)

ক্রিয়াশীল কৌশল:- সূর্য থেকে আগত সৌরশক্তি ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপে প্রথমে ভূপৃষ্ঠ এবং তার সংলগ্ন বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। পরে ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অবলোহিত রশ্মি বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত কিছু গ্যাস (যেমন-কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প প্রভৃতি) দ্বারা শোষিত হয়। ফলে ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত তাপের কিছু অংশ মেঘ বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় স্তরে শোষিত বা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরে এসে ভূপৃষ্ঠকে উয় রাখে। পৃথিবীকে উম্ন রাখার বা তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে গ্রিন হাউস প্রভাব (Green House Effect) বলে।

বৈশিষ্ট্য:-

  • কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂), জলীয় বাষ্প (H₂O), মিথেন (CH4), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), ক্লোরোফ্লুরো কার্বন (CFC) প্রভৃতি হল প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাস। 
  • 1827 সালে জে. ফুরিয়ার (J. Fourier) সর্বপ্রথম 'Green House Effect' কথাটির নামকরণ করেন। 
  • পৃথিবীর শিল্পোন্নত দেশগুলিতে (আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ প্রভৃতি) গ্রিন হাউস প্রভাব অধিক মাত্রায় লক্ষ্যণীয়।

গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির উৎস (Source of Green House Gases)

যেসব গ্রিন-হাউস গ্যাস সমূহ পৃথিবীর উন্নতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাদের উৎস নীচে আলোচনা করা হল-

[1] কার্বন ডাইঅক্সাইড: গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান গ্যাস হল কার্বন ডাইঅক্সাইড। কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, যানবাহনের ধোঁয়া, খনিজ তেল, শোধনাগার, ব্লাস্ট-ফার্নেস, জ্বালানি কাঠের দহন, দাবানলজনিত দহন প্রভৃতি হল কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রধান উৎস। 2007 সালে সর্বশেষ IPCC (Intergovernmental Panel on Climate Change) রিপোর্ট অনুযায়ী শিল্প বিপ্লবের পূর্বে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ ছিল মাত্র 280 ppm, কিন্তু শিল্পবিপ্লবের পরবর্তীকালে তা বেড়ে হয়েছে 379 ppm কার্বন ডাইঅক্সাইড সৌরতাপকে শোষণ করে বায়ুমণ্ডলের উন্নতা বৃদ্ধি করে। বর্তমানে পৃথিবীর গড় উন্নতা বৃদ্ধিতে CO₂-এর ভূমিকা 49%

গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির উৎস (Source of Green House Gases)
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির উৎস (Source of Green House Gases)

[2] মিথেনগ্রিন হাউস প্রভাব সৃষ্টিতে CO₂-এর পরে মিথেনের স্থান। গবাদি পশুর মলমূত্র, ধানক্ষেত্র, কয়লাখনি, কাঠের দহন, প্রাকৃতিক গ্যাস কূপ, পচা জৈব পদার্থ, পচা আবর্জনা, প্রভৃতি হল মিথেনের প্রধান উৎস। বিগত 200 বছরে বাতাসে CH4-এর পরিমাণ 145% বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মিথেনের ভূমিকা প্রায় 18%

[3] ক্লোরোফুরো কার্বন: মানুষের অবিবেচনপ্রসূত কাজকর্মের ফলে প্রতি বছর বায়ুমণ্ডলে ক্লোরোফ্লুরো কার্বনের পরিমাণ প্রায় 5% হারে বেড়ে চলেছে। হিমায়িতকরণ বা রেফ্রিজারেটর, হিমঘর, ওষুধ তৈরির কারখানা, রং, প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক্স শিল্প প্রভৃতি হল ক্লোরোফ্লুরো কার্বনের প্রধান উৎস। 1750-2013 সালে মধ্যে CFC- পরিাণ 820 গুণ বেড়েছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে CFC-এর ভূমিকা প্রায় 14%

[4] নাইট্রাস অক্সাইড: নাইট্রাস অক্সাইড একটি উল্লেখযোগ্য গ্রিন হাউস গ্যাস। জীবাশ্ম জ্বালানি দহন, দাবানল, অরণ্য বিনাশ, জমিতে নাইট্রোজেন সারের প্রয়োগ, মৃত্তিকায় জীবাণুর বিক্রিয়া প্রভৃতি হল নাইট্রাস অক্সাইডের প্রধান উৎস। বায়ুমণ্ডলে NO₂-এর পরিমাণ 330 ppb| বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাস .% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর গড় উন্নতা বৃদ্ধিতে নাইট্রাস অক্সাইডের ভূমিকা 6%

[5] ওজোন: ওজোন গ্যাস বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে উয়তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে ওজোনের সৃষ্টি হয় বিভিন্ন ধরনের বায়ুশোধন জলশোধন করার যন্ত্রের মাধ্যমে। বাতাসে এই গ্যাসের পরিমাণ বছরে প্রায় 0.5%-2.0% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 1750-2013 সালের মধ্যে ট্রপোস্ফিয়ারে প্রায় 40% ওজোন গ্যাস বেড়েছে।

[6] জলীয় বাষ্পজলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলের উয়তাকে ধরে রাখে। তাই বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে উয়তা বৃদ্ধি পায় এবং কমলে উয়তা কমে। আবার জলীয়বাষ্প সৃষ্ট মেঘ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপকে মহাশূন্যে যেতে বাধা দিয়ে উয়তা বৃদ্ধি করে।

গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলাফল (Consequences of Green House Effect)

বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে নিম্নলিখিত সুদূরপ্রসারী ফলাফল ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

[1] পৃথিবীর গড় উন্নতা বৃদ্ধি: বর্তমানে গ্রিন হাউস গ্যাসের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির জন্য পৃথিবীর গড় উন্মুতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বিগত মাত্র 250 বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা 1.5°C বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামি 2100 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় 1°C-3.5°C পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে পৃথিবীর জীবমণ্ডলের ওপর এক অভাবনীয় বিপর্যয় নেমে আসবে।

[2] সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা বৃদ্ধি: গ্রিন হাউস প্রভাবে পৃথিবীর গড় উয়তা বেড়ে গেলে মেরু উঁচু পার্বত্য অঞ্চলের বরফ বেশি মাত্রায় গলে যাবে এবং সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাবে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এভাবে পৃথিবীর উন্নতা বেড়ে গেলে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা 30-90 সেমি বেড়ে যাবে। ফলে ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা জলমগ্ন হবে।

[3] জলবায়ু পরিবর্তন

  • জলভাগ কম থাকায় দক্ষিণ-গোলার্ধের তুলনায় উত্তর-গোলার্ধ বেশি উয় হয়ে উঠবে। 
  • ক্রান্তীয় নাতিশীতোয় অঞ্চলে উয়তা বৃদ্ধির ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 10%-15% বৃদ্ধি পাবে।
  • পৃথিবীর উম্নতা বৃদ্ধির ফলে আবহাওয়া জলবায়ুর অন্যান্য নানাবিধ পরিবর্তন, যেমন-ঘূর্ণবাতের সংখ্যা তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে, খরার প্রবণতা বাড়বে, গ্রীষ্মকাল দীর্ঘায়িত হতে পারে। কোথাও কোথাও অতিবৃষ্টি বন্যা দেখা দিতে পারে। 
  • বজ্রঝড়, ঘূর্ণবাতসহ বিভিন্ন বায়ুমণ্ডলীয় গোলোযোগের তীব্রতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে। 
  • মেরু, সন্নিহিত অঞ্চলে শীতকাল আরও তীব্র হবে।

[4] হিমবাহ গলন: পৃথিবীর মোট স্থলভাগের প্রায় 10% হিমবাহ দ্বারা আবৃত। এই হিমবাহগুলি পৃথিবীর বেশির ভাগ নদনদীর জলের উৎস। কিন্তু উয়তা বৃদ্ধির জন্য এই হিমবাহগুলি গলে যাচ্ছে। সমগ্র আন্টার্কটিকাতে যে পরিমাণ বরফ ছিল, গত 50 বছরে তার 20% কমে গেছে। রাশিয়াতেও 50% এবং আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর বরফও প্রায় 75% কমে গেছে। ফলে সেচ, পানীয় জল, জলপথ পরিবহন, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রভৃতি ক্ষেত্রে তীব্র সংকট দেখা দেবে।

[5] উদ্ভিদ কৃষির ওপর প্রভাব

  • গ্রিন হাউস প্রভাবে নাতিশীতোয় সরলবর্গীয় বনভূমির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। 
  • সমুদ্র উপকূলবর্তী ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। 
  • উম্নতা বৃদ্ধি পেলে উদ্ভিদের সালোক-সংশ্লেষ হার বাড়বে। ফলে ভুট্টা, আখ, জোয়ার, বাজরা প্রভৃতি ফসলের উৎপাদন বাড়লেও ধান, গম, ওট, বার্লি, সয়াবিন, তামাক, তুলো প্রভৃতি ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে।
  • কৃষিক্ষেত্রে কীটের উপদ্রব বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে, আগাছার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলাফল (Consequences of Green House Effect)
গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলাফল (Consequences of Green House Effect)

[6] রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি: পৃথিবীর উন্নতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব তীব্রতা বাড়বে। যেমন

  • গ্রিন হাউস প্রভাবে হৃদরোগ হার্ট স্ট্রোকের প্রকোপ বেড়ে যাবে। 
  • ক্রান্তীয় অঞ্চলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, পীতজ্বর, এনকেফালাইটিস প্রভৃতি রোগের প্রকোপ বাড়বে। 
  • হাঁপানি এলার্জি বৃদ্ধি পাবে।

[7] জীববৈচিত্র্যের বিপন্নতা: গ্রিন হাউস প্রভাবে জীব বৈচিত্র্য ভয়ংকর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উয়তা বৃদ্ধির জন্য আন্টার্কটিকার পেঙ্গুইন গত 30 বছরে কমে 30 হাজার থেকে 11 হাজারে চলে এসেছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা বায়ুমণ্ডলের গড় উন্মুতা 3°C বৃদ্ধি পেলে 40% স্তন্যপায়ী, 23% প্রজাতি কয়েক শতাংশ পক্ষী প্রজাতি চিরতরে বিলুপ্ত হবে।

[] মরুভূমির প্রসার বৃদ্ধিপৃথিবীর উয়তা বৃদ্ধি পেলে মরু অঞ্চলগুলি আরও বেশ উত্তপ্ত হবে এবং মাটি আরও বেশি শুষ্ক হয়ে পড়বে। ফলে অত্যধিক উয়তার জন্য পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উদ্ভিদসমূহের বিনাশ ঘটে মরুভূমির সম্প্রসারণ হবে।

[9] সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতিপৃথিবীর উন্নতা বৃদ্ধি এবং সমুদ্র জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্য সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র বিপন্ন হবে। এর ফলে সমুদ্র জলের প্রায় 50% প্রবাল ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া সমুদ্রে ভাসমান প্ল্যাঙ্কটন থেকে শুরু করে তিমি পর্যন্ত সকল জীব আজ ধ্বংসের সম্মুখীন।

[10] জলচক্রের পরিবর্তন: উয়তা বৃদ্ধির জন্য বাষ্পীভবনের হার বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাতের বণ্টনের তারতম্যের জন্য সমুদ্র, বায়ুমণ্ডল ভূপৃষ্ঠের মধ্যে জলচক্রের আবর্তন ব্যাহত হবে।

 

গ্রিন হাউস প্রভাব নিয়ন্ত্রণকারী ব্যবস্থাসমূহ (Management of Green House Effect)

গ্রিন হাউস প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সমগ্র বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সম্মেলন, চুক্তি, আলোচনাচক্র আয়োজিত হয়েছে। এক্ষেত্রে বসুন্ধরা সম্মেলন, জোহানেসবার্গ সামিট, কিয়োটা চুক্তি প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। গ্রিন হাউস প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে-

[1] স্থায়ী শক্তি সম্পদের সংরক্ষণস্থায়ী শক্তি সম্পদ যেমন-কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করে এগুলিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে গ্রিন হাউস গ্যাস বিশেষত CO₂ এর নির্গমন হ্রাস পাবে।

[2] বনসৃজনবনচ্ছেদনের পরিবর্তে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যে বৃহৎ মাত্রায় বনসৃজন করা প্রয়োজন।

[3] প্রবহমান শক্তি সম্পদের ব্যবহারপ্রবহমান শক্তি-সম্পদ, যেমন-বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি, ভূতাপশক্তি প্রভৃতির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে 

[4] প্রযুক্তির প্রসারপ্রযুক্তি আবিষ্কারক দেশ থেকে অন্যান্য উন্নয়নশীল অনুন্নত দেশে প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে হবে।

[5] CFC-এর উৎপাদন ব্যবহার হ্রাসCFC নির্গমনকারী পদার্থের উৎপাদন ব্যবহার আইনানুসারে বন্ধ করতে হবে।

[6] প্রযুক্তির প্রসারপ্রযুক্তি আবিষ্কারক দেশ থেকে অন্যান্য [ উন্নয়নশীল অনুন্নত দেশে প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে হবে 

[7] বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: মিথেনের উৎপাদন হ্রাসের উদ্দেশ্যে বৈজ্ঞানিক আধুনিক উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন।

[] গবেষণার প্রসারগ্রিন হাউস গা্যসের নির্গমন এবং গ্রিন হাউস প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে গবেষণার পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে।

[9] জৈব সারের ব্যবহার: নাইট্রাস অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কৃষিক্ষেত্রে নাইট্রোজেনঘটিত সারের পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।

[10] জনসচেতনতার প্রসারগ্রিনহাউস গ্যাসগুলি পরিবেশকে কীরূপে ক্ষতিগ্রস্ত করে সেই সম্পর্কে জনসচেতনতার প্রসার ঘটাতে হবে।

[11] জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের উদ্যোগগ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমনের নির্ধারিত মাত্রা স্থির করার ক্ষেত্রে জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

  

আরও জানুন:

1. জীব বৈচিত্র্যের অবলুপ্তির কারণগুলি লেখ? (What are the causes of Biodiversity loss)|

2. জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের কি কি সমস্যা রয়েছে। (What are the problems behind the conservation of bio-diversity?)

3. জীববৈচিত্র্য বিনাশের কারণ ও  প্রভাব আলোচনা করো (Causes and Effect of Loss of Biodiversity)। 



Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।