উচ্চ শিক্ষার বিকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা লেখ।
![]() |
উচ্চ শিক্ষার বিকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা |
ভূমিকা:-
19th শতকের প্রথম ভাগে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটলে ওই শতকের মধ্যভাগে পাশ্চাত্য ধাঁচে উচ্চতর শিক্ষার প্রসারও বিশেষ প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। এই প্রয়োজনে গড়ে ওঠে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রেক্ষাপট:-
ব্রিটিশ কোম্পানির “Board of Control” এর সভাপতি স্যার চার্লস উড 1854 খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা বিষয়ক এক নির্দেশ নামায় এ দেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কথা বলা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা:-
উডের সুপারিশ অনুসারে লর্ড ক্যানিং এর শাসনকালে 1857 খ্রিস্টাব্দের 24th জানুয়ারি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাশ্চাত্যে ধাঁচের বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম পর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি লাহোর থেকে রেঙ্গুন এবং শ্রীলংকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
উপাচার্য:-
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য ছিলেন লড ক্যানিং এবং প্রথম উপাচার্য হলেন স্যার উইলিয়াম কোলভিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য ছিলেন স্যার গুরুদাস ব্যানার্জি (1870-1872 খ্রিস্টাব্দ)।
চরম উৎকর্ষতা:-
স্যার আশুতোষ মুখার্জি (1906-1923) উপাচার্য থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষতা চরম শিখরে পৌঁছেছিল। তার আমলে কলা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উন্নত গবেষণার কাজ সারা বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করে। তার অনুরোধ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ এখানে পড়াতে আসেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক অধ্যাপক ছিলেন।
প্রথম স্নাতক:-
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 1858 খ্রিস্টাব্দে যদুনাথ বোস ও বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জি প্রথম স্নাতক (B.A) হন। এশিয়ার প্রথম ডি.লিট বেণীমাধব বড়ুয়া এখানকার ছাত্র ছিলেন।
কৃতী ছাত্র:-
এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করে বহু ছাত্র পরবর্তী জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এখানকার কয়েকজন কৃতী ছাত্র ছিলেন- জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাথ সাহা, চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমণ, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, স্বামী বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ।