দশম শ্রেণী ভূগোল | বর্জ্য ব্যবস্থাপনা – প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Geography

Arpan

 দশম শ্রেণী ভূগোল | বর্জ্য ব্যবস্থাপনা – প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Geography

বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করবো বর্জ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে। এখানে আপনারা বর্জ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবে যেমন বর্জ্য-এর ধারণা (Concept of Waste), বর্জ্য-এর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Waste), বর্জ্য-এর শ্রেণিবিভাগ (Classification of Waste), পরিবেশের ওপর বর্জ্য এর প্রভাব (Effects of Waste on Environment), বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management), বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 3R-এর গুরুত্ব (Reduce, Reuse, Recycle), বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি (Processess of Waste Management) সম্পর্কে। এটি মাধ্যমিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং যারা ভূগোল নিয়ে পড়াশুনা করছে তাদের জন্যও খুবই উপকারী। তো বন্ধুরা তাই বলছি আপনারাও এই প্রশ্নের উত্তরটি অনুসরণ করুন অবশ্যই। যদি আপনার উত্তরটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি সেভ করে রাখতে পারেন এবং বাকি বন্ধুদের share করতে পারেন।

বর্জ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

বর্জ্য-এর ধারণা (Concept of Waste)

সাধারণভাবে অব্যবহৃত বা অপ্রয়োজনীয় বস্তুসমূহকে বর্জ্য বলে। যে সমস্ত কঠিন, তরল গ্যাসীয় উপাদানের উৎপাদক বা ব্যবহারকারীর কাছে কোন প্রয়োজন থাকে না কিংবা যেগুলিকে ব্যবহার করা যায় না, তাকে বর্জ্য বলে। পরিবেশের অবনমনের একটি অন্যতম কারণ হল বর্জ্য। বিখ্যাত পরিবেশবিদ . কার্সচেন (1974)-এর মতে, পরিবেশগত অবনমনের বিভিন্ন কারণ থাকলেও এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল পরিবেশে বর্জ্য পদার্থের আগমন।

বর্জ্য-এর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Waste)

বর্জ্য-এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

 

[1] বর্জ্যপদার্থ মূলত কঠিন, তরল গ্যাসীয়-এই তিন ধরনের হয়ে থাকে।

[2] গ্রাম শহরাঞ্চলের গৃহস্থালির আর্বজনা, কৃষিক্ষেত্র শিল্পক্ষেত্র নির্গত পদার্থ, খনি অঞ্চল প্রভৃতি হল বর্জ্য পদার্থের উৎসস্থল।

[3] গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ বেশি হয়।

[4] বর্জ্য পদার্থের প্রভাবে পরিবেশ দূষণের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট হয়।

[5] বর্জ্য পদার্থ পরিবেশের ক্ষতিকারক হলেও উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করা সম্ভব।

বর্জ্য -এর শ্রেণিবিভাগ (Classification of Waste)

বর্জ্যকে আমার বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিভাগ করে থাকি।

 

1. অবস্থার ভিত্তিতে বর্জ্য পদার্থ

 i) কঠিন বর্জ্য

ii) তরল বর্জ্য

iii) গ্যাসীয় বর্জ্য

 

2. বিষক্রিয়ার ভিত্তিতে বর্জ্য পদার্থ

i) বিষাক্ত বর্জ্য

ii) বিষহীন বর্জ্য

 

3. উৎসের ভিত্তিতে বর্জ্য পদার্থ

i) গৃহস্থালির বর্জ্য

ii) শিল্প বর্জ্য

iii) কৃষিজ বর্জ্য 

iv) পৌরসভার বর্জ্য 

v) চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য 

vi) তেজস্ক্রিয় বর্জ্য

1. অবস্থার ভিত্তিতে বর্জ্য পদার্থ

i) কঠিন বর্জ্য:- 

যেসব বর্জ্য পদার্থ কঠিন বা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, তাকে কঠিন বর্জ্য বলে। এই প্রকার বর্জ্য বেশি জায়গা জুড়ে অবস্থান করে। সাধারণত অপচনশীল কঠিন বর্জ্যগুলি প্রকৃতিতে মিশে যেতে দীর্ঘদিন সময় নেয়। তবে কোন কোন কঠিন বর্জ্য পুনরাবর্তনের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করা যায়। UNEP 2001 অনুযায়ী কঠিন বর্জ্য পদার্থ বিভিন্ন-রূপে অবস্থান করে; যেমন, গৃহস্থ থেকে বিভিন্ন আবর্জনা, নির্মাণ থেকে রাবিশ অব্যবহৃত উপকরণ, শক্তিকেন্দ্র থেকে উড়ন্ত ছাই, খনি থেকে বিভিন্ন পদার্থ ইত্যাদি।

উদাহরণ: খাদ্যের অবশিষ্ট অংশ, কাগজ, কাঠ, কাঁচ, বিভিন্ন প্লাস্টিকজাত দ্রব্য, বিভিন্ন ধাতব-অধাতব মৌল গৃহস্থলির আবর্জনা, বোতল ইত্যাদি হল কঠিন বর্জ্য।


ii) তরল বর্জ্য:-

যে সকল পরিত্যক্ত বা অবাঞ্ছিত তরল পদার্থ পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে তাকে তরল বর্জ্য বলে। তরল বর্জ্য মূলত জলদূষণ মৃত্তিকা দূষণে সাহায্যে করে। শহর নগরে তরল বর্জ্যের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়। তরল বর্জ্য জলাশয়ে ইউট্রোফিকেশন প্রক্রিয়া সংঘটনে সাহায্য করে।

উদাহরণ: জলে ভাসমান পলিমাটির কলয়েড, শৌচালয়ের নোংরা জল, কৃষি শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক মিশ্রিত দূষিত জল, ডিটারজেন্ট মিশ্রিত নোংরা জল, খনিজ তেল, গ্রিজ, চর্বি আলকাতরা ইত্যাদি।

 

iii) গ্যাসীয় বর্জ্য:- 

যে সকল গ্যাসীয় বা বায়বীয় উপাদান বিভিন্ন প্রাকৃতিক অপ্রাকৃতিক উৎস থেকে সৃষ্টি হয়ে পরিবেশের অবনমন ঘটায় তাকে গ্যাসীয় বর্জ্য বলে। গ্যাসীয় বর্জ্যগুলি মূলত মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে তৈরি হয়।

উদাহরণ: কলকারখানা যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া, গ্যাস, অগ্ন্যুৎপাতজনিত নির্গত গ্যাস দাবানল থেকে উৎপন্ন গ্যাস ইত্যাদি।

2. বিষক্রিয়ার ভিত্তিতে বর্জ্য পদার্থ

i) বিষাক্ত বর্জ্য:-

যে সমস্ত বর্জ্য জীবদেহের ক্ষতিসাধন করে অর্থাৎ পরিবেশে বিষক্রিয়া ঘটায় তাকে বিষাক্ত বর্জ্য বলে। এই প্রকার বর্জ্য রাসায়নিক কারখানা, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অঞ্চলে বেশি লক্ষ্য করা যায়। ধাতব কণারূপে উপস্থিত বিষাক্ত বর্জ্যগুলি প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে মানুষের ক্ষতিসাধন করে।

উদাহরণ: সিসা, জিঙ্ক, আর্সেনিক, DDT, BHC, ALDRIN ইত্যাদি হল বিষাক্ত বর্জ্য।

 

বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থের উৎস:-

  • ভারী ধাতু- সিসা, জিঙ্ক, আর্সেনিক ইত্যাদি।
  • কৃত্তিম জৈব যৌগ- পলিক্লোরিনেড বাইফিনাইলস (PCBS), ডাইক্লোরো-ডাইফিনাইল-টাইক্লোরো ইথেন, ডাইঅক্সিন ইত্যাদি।
  • পেট্রোলিয়াম জাত- গ্রিজ, তেল, গ্যাসোলিন।
  • জৈবিক- ব্যাকটেরিয়া, উদ্ভিদ টক্সিন।
  • তেজস্ক্রিয় দ্রব্যাদি- আয়োডিন, স্টনসিয়াম, সিজিয়াম, ইউরোনিয়াম, রেডিয়াম, থোরিয়াম, রেডন, বেরিয়াম, ল্যান্থানিয়াম।

ii) বিষহীন বর্জ্য:- 

যে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ পরিবেশ বা জীবজগতের ওপর বিষক্রিয়া ঘটায় না তাকে বিষহীন বর্জ্য বলে। জৈব্য অবশিষ্টাংশ এবং জীবদেহ নির্গত এই সমস্থ বর্জ্য প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মূলত ভোক্তারা ব্যবহারের পর যেসব দ্রব্য ত্যাগ করে সেখান থেকে এই ধরনের বর্জ্য পদার্থের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

উদাহরণ: গৃহস্থালির বিভিন্ন সবজি ফলের খোসা, গাছের পাতা, গৃহপালিত প্রাণীদের বিষ্ঠা ইত্যাদি।

3. উৎসের ভিত্তিতে বর্জ্য পদার্থ

i) গৃহস্থালির বর্জ্য: 

গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের পর যেসব বর্জ্য পদার্থ আশেপাশে নিক্ষেপ হয় তাকে গৃহস্থালির বর্জ্য বলে। পরিবেশে যাবতীয় বর্জ্যের মধ্যে গৃহস্থালির বর্জ্যের পরিমাণ সর্বাধিক হয়।

উদাহরণ: খাবারের অবশেষ, রান্নাঘরের আবর্জনা, শাক-সবজি ফলমূলের অব্যবহৃত অংশ, কাগজ, কার্ডবোর্ড, প্লাস্টিক, জামাকাপড় ইত্যাদি।

 

 

ii) শিল্প বর্জ্য: 

বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্যকে বলা হয় শিল্পজাত বর্জ্য। এই প্রকার বর্জ্য কারখানা থেকে কঠিন, তরল, গ্যাসীয় আকারে নির্গত হয়। এগুলি বিষাক্ত, অবিষাক্ত কিংবা জৈব বা অজৈব হিসাবে পরিবেশে মিশ্রিত হয়।

উদাহরণ: লৌহ ইস্পাত শিল্প থেকে নির্গত স্ল্যাগ, স্ক্যাপ ধূলিকণা; রাসায়নিক শিল্প থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত 'ফ্লাই অ্যাস, বিভিন্ন শিল্প থেকে নির্গত পারদ, সীসা, আর্সেনিক, দস্তা ইত্যাদি।

 

কয়েকটি শিল্প থেকে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ সমূহ:-

  • আসিটেট রেয়ন শিল্প- অ্যাসিটিক অ্যাসিড
  • আলুমিনিয়াম শিল্প- ক্রোমিয়াম
  • সুরা উৎপাদন শিল্প- অজৈব অ্যাসিড
  • রং উৎপাদন শিল্প- সীসা, ফেনল যৌগ
  • ইঞ্জিনিয়ারিং- তেল, চর্বি, গ্রিজ
  • সার উৎপাদন শিল্প- ফসফেট, ক্লোরাইড
  • গ্যাস কোক শিল্প- অ্যামোনিয়া, সায়ানাইড
  • কাগজ উৎপাদন শিল্প- মক্ত ক্লোরিন
  • রাবার শিল্প- দস্তা
  • চর্মশিল্প- ট্যানিল অ্যাসিড, ফেনল 
  • পরমাণু শিল্প- ক্লোরাইড
  • ব্যাটারি শিল্প- সীমা, অ্যাসিড
  • রাসায়নিক শিল্প- জৈব (টারটারিক) অজৈব (ফেনল) অ্যাসিড
  • কার্পাস বয়ন শিল্প- ক্ষার 
  • পেট্রো রসায়ন শিল্প- হাইড্রোকার্বন
  • করাত কল- ট্যানিক অ্যাসিড
  • ফোটোগ্রাফি শিল্প- রুপো রাসায়নিক

iii) কৃষিজ বর্জ্য: 

কৃষিজ ফসল তোলা বা সংগ্রহের পর অবশিষ্টাংশ কঠিন তরল বর্জ্য পদার্থসমূহকে কৃষিজ বর্জ্য বলে। এই প্রকার বর্জ্য মূলত স্বল্প সময়ে বিয়োজিত হয়ে যায়। তবে এই প্রকার বর্জ্য অপেক্ষাকৃত কম পরিবেশ দূষণ (রাসায়নিক দ্রব্য ব্যতীত) ঘটায়।

উদহরণ: খড়, ধানের তুষ, আখেড় ছিবড়া, গৃহপালিত প্রাণীর বিষ্ঠা, কৃষিতে ব্যবহত রাসায়নিক সার, কীটশাশক ইত্যাদি।

 

iv) পৌরসভার বর্জ্য: 

শহর, নগর বিভিন্ন পৌর এলাকায় সংগৃহীত বর্জ্য পদার্থকে বলা হয় পৌরসভার বর্জ্য। গ্রামের থেকে পৌরসভার গৃহস্থালির বর্জ্যের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। ভারতীয় শহরে গড়ে 500 গ্রাম/জন বর্জ্যের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

উদাহরণ: পৌর অঞ্চলের গৃহস্থালির বর্জ্য, নির্মাণ কাজ তার ধ্বংসপ্রাপ্ত বর্জ্য, পয়ঃপ্রনালীর বর্জ্য, রাস্তার বর্জ্য ইত্যাদি।

 

 

v) চিকিৎসাসংক্রান্ত: 

মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসার পর যেসব বর্জ্য পদার্থ পরিবেশে নির্গত হয় তাকে চিকিৎসাসংক্রান্ত বর্জ্য বলে। সাধারণত হাসপাতাল বা নার্সিংহোম সংলগ্ন অঞ্চলে এই প্রকার বর্জ্য বেশি সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই প্রকার বর্জ্যের 90% হল অসংক্রামক বর্জ্য এবং 10% বর্জ্য হল সংক্রমক প্রকৃতির।

উদারহন: প্লাস্টিক, ওষুধের ফয়েল, বর্জিত সূচ, সিরিঞ্জ, ছরি, কাঁচি, ব্লেড, তুলো, গজ ইত্যাদি।

 

vi) তেজস্ক্রিয় বর্জ্য: 

যে সকল বর্জ্য থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ নির্গত হয় তাকে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য বলে। পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে কেন্দ্র, পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ কেন্দ্র এবং পারমাণবিক চুল্লি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ এই প্রকার বর্জ্যের উৎস। এগুলি পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে মানব শরীর, অন্যান্য প্রাণী কৃষিকাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

উদাহরণ: ইউরেনিয়াম 234, নেপটুনিয়াম 237, প্লুটোনিয়াম 234, রেডিয়ান 226 ইত্যাদি।

পরিবেশের ওপর বর্জ্য এর প্রভাব (Effects of Waste on Environment)

[1] জলের ওপর প্রভাব: 

বর্তমানে সমুদ্র, নদী, পুকুর, জলাশয় প্রভৃতি হল বর্জ্য পদার্থ নিক্ষেপের অন্যতম স্থান। শহর বা শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন প্রকার তরল বর্জ্য, কৃষিক্ষেত্রে থেকে নির্গত বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক তরল বর্জ্য জলাশয়কে দূষিত করে। এর ফলে জলজ প্রাণীদের মৃত্যু ঘটেছে। জলজ বাস্তুতন্ত্রের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

[2] বায়ুর ওপর প্রভাব: 

কলকারখানা যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাসীয় বর্জ্য, বিভিন্ন জৈব পদার্থ পচনের ফলে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস বায়ুতে মিশে বায়ুদূষণের মাত্রাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করছে।

 

[3] মাটির ওপর প্রভাব: 

বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ: যেমন- কীটনাশক, ডিটারজেন্ট পাউডার মাটিতে মিশ্রিত হয়ে মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়। এছাড়া চিকিৎসার বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ, আবর্জনা, বিভিন্ন কলকারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ, প্রাণীদের মূল-মূত্র ইত্যাদি মৃত্তিকায় যুক্ত হয়ে ভূমি দূষণ ঘটায়। এর ফলে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া প্রভৃতি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

 

[4] স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব: 

চিকিৎসাসংক্রান্ত কঠিন বর্জ্য পদার্থ থেকে টাইফয়েড, জন্ডিস, আন্ত্রিক প্রভৃতি রোগ হতে পারে। এছাড়া সংক্রামক বর্জ্যের প্রভাবে কৃমি, ফুসফুসের রোগ, টিটেনাস, হেপাটাইটিস-বি, চর্মরোগ প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।

 

[5] জল নিকাশিতে বাধা: 

শহরাঞ্চলের নর্দমাগুলির মুখগুলিতে বিভিন্ন বিভিন্ন প্রকার কঠিন বর্জ্য পদার্থ জমা হয়ে বর্ষাকালে জল নিকাশিতে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে শহরাঞ্চলে বসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

 

[6] দৃশ্যদূষণ: 

আমাদের চারপাশে কঠিন আবর্জনা বা বর্জ্য পদার্থ দৃশ্যদূষণ ঘটায়। ফলে পরিবেশের সৌন্দর্য হানি ঘটে।

 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management)

বর্জ্য পদার্থ পরিবেশের গুনগত মানের অবনমন ঘটায়। তাই পরিবেশের অবনমন রোধ, মানব শরীরে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ইত্যাদির উদ্দেশ্যে বর্জ্যের যথাযথ সদ্ব্যবহার, বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার, নতুন সম্পদ সৃষ্টি ইত্যাদির সম্মিলিত প্রক্রিয়াকে বলা হয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 

 

 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 3R-এর গুরুত্ব অপরিসীম।

বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাস (Reduce)

প্রকৃতিতে বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করতে হবে। 1992 সালে বসুন্ধরা সম্মেলনে বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাসের কথা বলা হয়। মূলত বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাসের জন্য 

[1] জীবনযাত্রা বিলাসবহুল না করা, 

[2] স্থিতিশীল উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া, 

[3] দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার করা যায়, এমন বস্তু গ্রহণ করা ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা দরকার।

বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার (Reuse)

বর্জ্যদ্রব্যের পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্যের পরিমাণ কমানো সম্ভব। মূলত বর্জ্যের পুনর্ব্যবহারের জন্য যে যে পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করা আবশ্যক, সেগুলি হল- 

[1] পুরানো কাপড়, বই চ্যারিটেবল সংস্থার মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করা যেতে পারে। 

[2] অ্যালুমিনিয়ামের দ্রব্য পুনরায় মেরামত করে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

[3] পুরানো গাড়ি, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন বোতল পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ (Recycle)

পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থকে নতুন দ্রব্যে পরিণত করা যায়। সাধারণত কঠিন বর্জ্যের 50% পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে অন্যান্য শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় পুরানো লোহা থেকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ইস্পাত তৈরি করা হয়। আবার ছেঁড়া কাপড়, কাগজ থেকে পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে নতুন কাগজ উৎপন্ন হয়।

 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি (Processess of Waste Management)

[1] বর্জ্য পৃথকীকরণ:-

এই প্রক্রিয়ায় পচনশীল, অপচনশীল দূষিত বর্জ্যকে পৃথক করা হয়। বর্জ্য পৃথকীকরনের মাধ্যমে জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য (যে বর্জ্য অনুজীব দ্বারা বিয়োজিত হয়, যেমন-উদ্ভিজ দ্রব্য, খাদ্যদ্রব্যের অবশেষ, প্রাণীজাত অবশেষ ইত্যাদি) পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে মিশ্রসারে পরিণত করা যায়। বর্তমানে কেরল রাজ্যে উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে প্লাস্টিকের দ্রব্য থেকে অশোধিত তেল উৎপাদন করা হচ্ছে।

 

[2] ভরাটকরণ:- 

ভরাটকরণ পদ্ধতিতে একটি বিশাল গর্তে গৃহস্থালি পৌরসভার বর্জ্য আবর্জনাকে ফেলে তার ওপর মাটির স্তর চাপা দেওয়া হয়। এই বর্জ্য আবর্জনার পচনে যে হিউমাস তৈরি হয় তা কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়।

 

 

[3] কম্পোস্টিং:- 

প্রাকৃতিকভাবে জৈব বর্জ্যের বিয়োজনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় কম্পোস্টিং। এই পদ্ধতিতে বিপজ্জনক জৈব বর্জ্যকে নিরাপদ মিশ্রসারে পরিণত করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কৃষিজ বর্জ্য অন্যান্য জৈব বর্জ্য পচিয়ে সার তৈরি করা হয়।

 

 

[4] নিষ্কাশন:-

এই পদ্ধতিতে নিকাশি নালার মাধ্যমে নর্দমার ময়লা জল অন্যান্য তরল বর্জ্যের সুষ্ট বিলি ব্যবস্থা করা যায়। বর্তমানে এই নিষ্কাশন প্রথায় সমুদ্রেও বর্জ্য নিক্ষেপ করা হয়। গবেষণায় জানা গিয়েছে উপকূল থেকে 300 কিমি দূরে এবং 10,000 ফুট গভীরে বর্জ্য পদার্থ নিক্ষেপ করলে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয় না।

 

[5] স্ক্যাবার:- 

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের একটি যান্ত্রিক পদ্ধতি হল স্ক্যাবার। কলকারখানা, শক্তিকেন্দ্র থেকে যে ধোঁয়া নির্গত হয় সেখানে যে বিষাক্ত গ্যাসীয় বর্জ্য নির্গত হয়, স্ক্রাবার যান্ত্রিক পদ্ধতিতে তা ধৌত করে দূষকগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

 

Extra Knowledge

1. জীব-বিশ্লেষ্য বর্জ্য: 

যে সমস্ত কঠিন বা তরল বর্জ্য পদার্থ অনুজীব দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয়, তাদের জীব-বিশ্লেষ্য বর্জ্য বলে। এই প্রকার বর্জ্য গুলি পরবর্তীতে অনুজীবীয় কার্যাবলী দ্বারা হিউমাসে পরিনত হয়ে আয়তনে হ্রাস পায়। এগুলি জৈব সার রূপে মৃত্তিকায় মিশ্রিত হয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উদাহরণ-শাক-সবজির খোসা, গাছের ডালপালা, কাগজ, কাঠ প্রভৃতি।

 

2. জীব-অবিশ্লেষ্য বর্জ্য: 

যে সমস্ত কঠিন তরল বর্জ্য অনুজীব দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয় না তাদের জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য বলে। এই প্রকার বর্জ্য থেকে নির্গত বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য মাটিতে মিশ্রিত হয়ে মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়। এছাড়া এগুলি মাটিতে জলের অনুপ্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে। উদাহরণ-প্লাস্টিক, পলিথিন ইত্যাদি।

 

3. D-Waste: 

D-Waste কথার অর্থ হল Demolition Waste বিভিন্ন মেট্রোপলিটন শহর বা মহানগরের পুরানো নির্মাণকার্যগুলি ভেঙে দেওয়ার ফলে যে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাকে D-Waste বা Demolition Waste বলে।

 

4. ল্যান্ডফিল: 

কঠিন বর্জ্যপদার্থগুলি যে পরিকল্পিতি স্থানে নিক্ষেপ করা হয় তাকে ল্যান্ডফিল বলা হয়। এর ফলে কোন অবনমিত ভূভাগ বা নীচু এলাকা কঠিন বর্জ্যের দ্বারা ভরাটকরণ হয়। এগুলি মূল শহরের কেন্দ্র থেকে অনেকটা ফাঁকা জায়গায়যেখানে মনুষ্যবসতি থাকে না সেখানে হয়ে থাকে।

 

5. লিচেট: 

অনেক সময় বৃষ্টির জল ল্যান্ডফিলের বর্জ্য পদার্থ ধুয়ে জলাশয়ে বা ভৌমজলে মিশ্রিত হয়। এই প্রকার বর্জ্য পদার্থ ধোয়া জলকে লিচেট বলে। এটি নদ-নদী জলাশয়ের জলকে দূষিত করার পাশাপাশি ভৌমজলকেও দূষিত করে।

 

6. ল্যান্ডফিল গ্যাস: 

বিভিন্ন ধরনের জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য দ্বারা ভূমিভাগ ভরাটকরণের পরবর্তী পর্যায়ে ওই বর্জ্যগুলি অনুজীব দ্বারা বিয়োজিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার গ্যাসের সৃষ্টি করে। এই প্রকার মিশ্র প্রকৃতির গ্যাসগুলিকে বলা হয় ল্যান্ডফিল গ্যাস। এই প্রকার মিশ্র গ্যাসের মধ্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস হল মিথেন (40-60%) কার্বন ডাইঅক্সাইড। এছাড়াও অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসও কিছু পরিমাণে থাকে।

 

7. ম্যানিওর পিট: 

গ্রামাঞ্চলে বর্জ্য ব্যস্থাপনার একটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হল ম্যানিওর পিট। গ্রামাঞ্চলে দৈনন্দিন ব্যবহৃত শাকসবজির খোসা খাবারের অবশিষ্টাংশ বাড়ির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গর্ত করে ফেলে রাখা হয়। এই গর্তগুলি সম্পূর্ণরূপে ভর্তি হয়ে গেলে গর্তের ওপরের অংশ মাটি দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ঢেকে রাখা ওই বর্জ্যগুলি বিয়োজিত হয়ে জৈব সারে পরিণত হয়। একে ম্যানিওর পিট বলে।

 

8. ভার্মি কম্পোস্ট: 

বিভিন্ন প্রকার জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য গুলি কেঁচোর প্রভাবে বিয়োজিত হয়ে হিউমাস সমৃদ্ধ মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভার্মি কম্পোস্টিং। এগুলি উৎকৃষ্ট শ্রেণির জৈব সাররূপে ব্যবহৃত হয়।

 

9. কম্পোস্টিং: 

কঠিন বর্জ্য জৈব বর্জ্য পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় অনুবীক্ষণিক জীবের দ্বারা বিয়োজিত হয়ে হিউমাস সমৃদ্ধ মৃত্তি কায় পরিণত হয় তাকে কম্পোস্টিং বলে। এগুলি কম্পোস্টিং সার নামে পরিচিত। বায়ুর উপস্থিতিতে কম্পোস্টিং হলে তাকে সবাত কম্পোস্টিং বলে এবং বায়ুর অনুপস্থিতিতে কম্পোস্টিংকে অবাত কম্পোস্টিং বলে। কম্পোস্টিং সার জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

 

10. E-বর্জ্য: 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সামগ্রী বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার পর যেগুলিকে পরিত্যক্ত হিসেবে পরিবেশে ফেলে দেওয়া হয় সেগুলি পরিবেশে মিশে পরিবেশকে দূষিত করে। এইরূপ বর্জ্যকে বলা হয় E-waste বা Electronic বর্জ্য। উদাহরণ- কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, রেডিয়ো, টিভি সেলফোন, ফ্রিজ বৈদ্যুতিক খেলনা ইত্যাদির পরিত্যক্ত অংশ।

 

11. স্ক্রাবার (Scrubber): 

স্ক্রাবার হল বায়ুদূষণ রোধকারী এক ধরনের যন্ত্র। এই যন্ত্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থ থেকে বিষাক্ত কণা গ্যাসের নির্গমন রোধ করা হয়। এছাড়া জলের মধ্যে জৈব বর্জ্যের প্রভাবে যে আনুবীক্ষণিক জীবাণু অবস্থান করে তা ধ্বংসের জন্য স্ক্যাবার ব্যবহৃত হয়।

 

12. ডিসইনফেকশন প্রক্রিয়া: 

জলকে জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিসইনফেকশন প্রক্রিয়া। সাধারণত জলের সঙ্গে ক্লোরিন, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ওজোন ব্রোমিন ক্লোরাইড, সিলভার আয়ন মিশিয়ে জলের রোগ জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিসইনফেকশন প্রক্রিয়া (Disinfection Process) 

 

13. র‍্যাগপিকার (Ragpicker): 

যে সমস্ত মানুষজন নিজেদের জীবনধারণের জন্য পরিবেশে ফেলে দেওয়া পুনর্নবীকরণযোগ্য বর্জ্যগুলি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে, তাদের র‍্যাগপিকার (Ragpicker) বলা হয়। পরিবেশ নির্মল রাখতে এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

14. বাগাসি (Bagassee): 

চিনি তৈরির কারখানা থেকে নির্গত আখের ছিবড়ে বর্জ্য পদার্থ হিসেবে পরিবেশে মিশ্রিত হলে তাকে বাগাসি (Bagassee) বলে। তবে এই প্রকার বর্জ্য পুনর্নবীকরণ যোগ্য। এগুলি কাগজ শিল্পে কাগজের মন্ড তৈরিতে জ্বালানিরূপে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

 

15. 'ওশেন ডাম্পিং' (Ocean Dumping):

বিভিন্ন নদ-নদীবাহিত পদার্থসমূহ সমুদ্রবক্ষে সঞ্চিত হয়ে অথবা মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন বর্জ্য সমুদ্রবক্ষে নিক্ষেপ তথা ভরাটকরণের ফলে যেসব বর্জ্যের সৃষ্টি হয় তাকে ওশেন ডাম্পিং (Ocean Dumping) বলে। এর প্রভাবে সামুদ্রিক বাস্তুতন্দ্রের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এবং সামুদ্রিক জীবের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।

 

16. বিপজ্জনক বর্জ্য: 

প্রকৃতিতে অবস্থানরত যেসব বর্জ্য বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রাণীজগতের পক্ষে ক্ষতিকারক এবং যেগুলি পরিবেশের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী সেগুলিকে বিপজ্জনক বর্জ্য বলে। উদাহরণ- সিসা, পারদ, ইথানল, প্রোপেন, প্লুটোনিয়াম, কার্বন মৌল-14, ইউরেনিয়াম সিজিয়াম ইত্যাদি। জাপানে পারদ নামক বিপজ্জনক বর্জ্যের দ্বারা মিনামাটা নামক রোগের উৎপত্তি হয়েছিল।

 

17. সবুজ রসায়ন: 

সবুজ রসায়ন হল বিষাক্ত বর্জ্যের নিয়ন্ত্রণের একটি আধুনিক ব্যবস্থা। যে প্রযুক্তিগত উপায়ে কোন রাসায়নিক বস্তুকে সংশ্লেষ, প্রণালীকরণ ব্যবহার করার পর বর্জ্য পদার্থ থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলিকে নিষ্কাশন করা হয় সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয় সবুজ রসায়ন।



Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।