জলজ বায়োম
সংজ্ঞা
একটি বৃহৎ প্রাকৃতিক নির্দিষ্ট জলাশয়ের মেজর হ্যাবিট সম্পন্ন ফ্লোরা এবং ফনাযুক্ত কমিউনিটিকে জলজ বায়োম বলে।
শ্রেণীবিভাগ
জলজ বায়োমকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-
1. সমুদ্রের বায়োম, 2. স্বাদু জলের বায়োম
1. সমুদ্রের বায়োম:-
এটি পৃথিবীর অধিকাংশ স্থান জুড়ে থাকা লবণাক্ত জলের বায়োম। এটি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বৃহৎ বায়োম।
- অবস্থান:- 5 টি মহাসমুদ্র- প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আর্কটিক মহাসাগর, এন্টার্কটিক মহাসাগর এবং বিভিন্ন সাগর উপসাগরে এই বায়োম বিস্তৃত।
- জলের প্রকৃতি:- সমুদ্রের জলে লবণের পরিমাণ প্রায় 3.5 গ্রাম। যদিও লবণের এই ঘনত্ব সর্বত্র সমান হয়।
- সমুদ্রের গভীরতা:- সমুদ্রের গভীরতা সর্বত্র সমান নয়। উপকূলের কাছাকাছি গভীরতা কম হয়।
- উদ্ভিদ:- জলের স্রোত, উষ্ণতা, লবনের মাত্রার উপর অনেক সময় জীববৈচিত্র নির্ভর করে। বিভিন্ন ধরনের শৈবাল যেমন- লোহিত শৈবাল, বাদামী শৈবাল, সবুজ শৈবাল প্রভৃতি।
- প্রাণী:- বিভিন্ন ধরনের মাছ, হাঙর থেকে কর্ডাটা পর্বের অসংখ্য প্রাণী, বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন- ডলফিন, তিমি প্রভৃতি এই বায়োমে পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন সরীসৃপও সমুদ্রের জলে থাকে।
2. স্বাদু জলের বায়োম:-
বিভিন্ন জলাশয় যেমন- নদী, হ্রদ, পুকুর প্রভৃতির মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র দেখা যায়।
- অবস্থান:- নদী, খাল, হ্রদ, জলাভূমি প্রভৃতি স্বাদু জলে এই বায়োম অবস্থিত।
- জলের প্রকৃতি:- এখানে জলের লবনের মাত্রা 1% এরও কম। এই জলে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে।
- উদ্ভিদ:- স্বাদুজলে পদ্ম, শালুক, কচুরিপানা, প্রভৃতি উদ্ভিদ দেখা যায়।
- প্রাণী:- স্বাদু জলে বিভিন্ন মাছ যেমন- রুই, কাতলা, মাগুর, সিঙ্গি, কুমির, হাঁস প্রভৃতি প্রাণী দেখা যায়।
আরও জানুন: