সাঁওতাল বিদ্রোহের ফলাফল
সূচনা :
সিধু ও কাণহু মাঝি চাঁদ ভৈরব প্রমুখের নেতৃত্বে ভাগনাডিহির মাঠে সমবেত 10 হাজার সাঁওতাল ব্রিটিশ সরকার ও মহাজন, জমিদার, রেল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিলো (1855 খ্রি) তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
1. নবযুগের সূচনা :
অধ্যাপক কালিকিঙ্কর দত্তের মতে বাংলা বিহারের ইতিহাসে সাওতালদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিক থেকে এই বিদ্রোহকে নবযুগের সূচনা বলেছেন।
2. গণসংগ্রামের দৃষ্টান্ত :
উইলিয়াম হান্টার বলেন - সাঁওতাল হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যবর্তী আধা আদিবাসী শ্রেণী, নিম্নবর্ণের হিন্দু এই বিদ্রোহে যোগ দেয়। এই সূত্রে অধ্যাপক নরহরি কবিরাজ এই বিদ্রোহকে গণ সংগ্রামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলেছেন।
3. জেলাগঠন :
এই বিদ্রোহের সূত্রে সরকার সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে সাঁওতাল জেলা গঠন করে ও পৃথক জাতি হিসাবে সীকৃতি দেওয়া হয়।
4. নির্দিষ্ট সুদের হার :
এই বিদ্রোহের ফল হিসাবে মহাজনের কাছ থেকে সাঁওতালদের ঋণ নেওয়া সুদের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা হয়।
5. মহা বিদ্রোহের অগ্রদূত :
অধ্যাপক সুপ্রকাশ রায় বলেন এই বিদ্রোহ সমগ্র ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের ভিত্তিমূল প্রযন্ত কাপিয়ে দিয়েছিল এবং এটি ছিল ভারতের যুগান্তকারী মহা বিদ্রোহের অগ্রদূত।
6. স্বাধীনতা সংগ্রাম :
অধ্যাপক R.C Majumdar এর মতে 1857 খ্রি বিদ্রোহকে যদি স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা যায়, সেই দৃষ্টিতে সাঁওতালদের সুকঠিন সংগ্রামকে স্বাধীনতা সংগ্রামের মর্যাদা দেওয়া উচিত ।
7. কল্যাণমূলক কাজ :
সাঁওতালদের ব্রিটিশ রোষ দুর করার জন্য সাঁওতাল পরগনায় নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করে তাদের প্রধানদের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এক ধরনের ওজন চালু করা হয় ও মহাজনদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
আরো জানুন :