শিক্ষা বিস্তারে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন এর ভূমিকা লেখ।

শিক্ষা বিস্তারে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন এর ভূমিকা লেখ।

শিক্ষা বিস্তারে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন এর ভূমিকা লেখ।


ভূমিকা

উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণ ঘটাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল ছাপাখানা। সকল দিকের বিপ্লব ঘটাতে ছাপাখানায় চাপা বইগুলি বাঙালি চিন্তা, চেতনা ও জাগরনী বিপ্লব সংঘটিত করতে শ্রীরামপুর মিশন প্রেসের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা: 

ডেনমার্ক থেকে আগত খ্রিস্টান মিশনারী উইলিয়াম কেরি হুগলির শ্রীরামপুরে মুদ্রণ যন্ত্র স্থাপন করেন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে। পরে এটি এশিয়ার বৃহত্তম ছাপাখানায় পরিণত হয়।

কার্যগত দিক:

অনুবাদ প্রকাশ: উইলিয়াম কেরি ছাপাখানা থেকে বাংলা, হিন্দি, অসমীয়া, উড়িষ্যা, মারাঠি, সংস্কৃত প্রভৃতি ভারতীয় ভাষায় বাইবেলের অনুবাদ প্রকাশিত হয়।

ধর্ম পুস্তক এর অনুবাদ: এই ছাপাখানায় প্রকাশিত ধর্মীয় পুস্তক এর অনুবাদের মধ্যে ছিল - রামায়ন, মহাভারত সহ বিভিন্ন প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের অনুবাদ দেশ ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ ইত্যাদি ।

অন্যান্য বই প্রকাশ: এই প্রেস থেকে লেখক রামরাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের এই সিংহাসন এছাড়াও ৪০ টি ভাষায় ১৮০১ - ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দুই লাখেরও বেশি বই ছেপে বের করা হয।

শিক্ষা বিস্তার: শ্রীরামপুর ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত বই পত্র গুলী জ্ঞান ও শিক্ষার প্রসারে একদিকে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছিল অপরদিকে শিক্ষার্থীদের কাছে কম দামে বা বিনামূল্যে ছাপা বই পৌঁছে দিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল স্কুল বুক সোসাইটি (১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে)
ও ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটির (১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে)
ন্যায় একাধিক সংগঠনগুলি।

দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভূমিকা: এই ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হাজার হাজার পাঠ্যপুস্তক এর কপি শহর ও গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সহজেই পৌঁছায় এবং শিক্ষা বিস্তারের কাজ সহজ হয় আর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুবিধা লাভ করতে থাকে।

মূল্যায়ন: সুতরাং এক বাক্যে স্বীকার্য যে পুস্তক অনুবাদ, পাঠ্যবইয়ে রচনা, বিভিন্ন পত্র পত্রিকার প্রকাশ এবং সার্বিক শিক্ষা বিস্তারে কাজকে সহজ তর করতে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস এর ভূমিকা অনন্য ও অম্লান।

আরো জানুন :

Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।