ইতিহাস চর্চার নিরিখে কন্যা ইন্দিরা কে লেখা পিতা জহরলাল নেহেরুর চিঠির গুরুত্ব লেখ।

ইতিহাস চর্চার নিরিখে কন্যা ইন্দিরা কে লেখা পিতা জহরলাল নেহেরুর চিঠির গুরুত্ব লেখ।

ইতিহাস চর্চার নিরিখে কন্যা ইন্দিরা কে লেখা পিতা জহরলাল নেহেরুর চিঠির গুরুত্ব লেখ।


    ভূমিকা:
        ভারতের মুক্তি আন্দোলনের ইতিহাসে অন্যতম প্রধান কারণ তারই, মতিলাল নেহেরুর পুত্র জহরলাল দীর্ঘদিন কারাবাস কালে আবার ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করতে তাকে দেশের বাইরে অনেক সময় অতিবাহিত করতে হতো। এইসময় এলাহাবাদে বসবাসকারী নিজেও কন্যা ইন্দিরাকে ২৩ টির বেশি চিঠি পত্র লিখেছেন, যার গুরুত্ব নিম্নবর্ণিত___

ইন্দিরা কে লেখা পিতা জহরলাল নেহেরুর চিঠির গুরুত্ব

    (১) সভ্যতা সম্পর্কে ধারণা:
Letters form a father to his Daughter ইংলিশ পত্র গুলিতে নেহেরু বর্ণনা করেছেন পৃথিবীর উৎপত্তি , জীবজন্তুর আবির্ভাব, আদি মানুষের জীবন সমাজ-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ প্রভৃতি বিষয়ে ঐতিহাসিক বিভিন্ন তথ্য রয়েছে।
 
  (২) পঞ্চশীল নীতি: 
তার লেখা চিঠিতে বিশ্ব বিষয়ের বিশেষ পর্যালোচনা সম্পর্কে পঞ্চশীল নীতি গ্রহণের প্রণোদনা, রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন দিক উল্লেখিত রয়েছে।

 (৩) ধর্মগত:
 নেহেরু তার কন্যাকে লেখা চিঠিতে ধর্ম নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। কারণ ব্রিটিশ শাসিত ভারতে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িক টানাপড়েন ও হানাহানি থেকে মুক্তির জন্য ধর্ম নিরপেক্ষ নীতি কে প্রাধান্য দিয়েছেন।

 (৪) জাতিভেদ প্রথা:
 তার চিঠিতে জাতি বা বর্ণভেদ গত বৈষম্যের কারণ বিশ্লেষণ এর প্রসঙ্গে জলবায়ু দিকটিকে বিচার করে বর্ণ বৈষম্যের বিরোধিতার একটি উল্লেখ করেছেন।

 মূল্যায়ন
সুতরাং জহরলাল নেহেরুর চিঠি গুলি শুধুমাত্র ইন্দিরার মানসিক জগতের কৌতুহল পরিতৃপ্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সরকারি উপাদান হিসাবে এই চিঠির গুরুত্ব অপরিসীম। মুন্সি প্রেমচাঁদ এই চিঠি হিন্দি অনুবাদ পিতাকে পত্র পুত্রী কে নাম এবং বঙ্গানুবাদ “কল্যাণী হিন্দু" নামে প্রকাশিত হয়েছে।

আরো জানুন :

Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।