WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now
YouTube Channel
Subscribe

ত্রিকোশীয় সংবহন মডেল ( Tricullular Circulation Model )

বায়ুমণ্ডলের ত্রিকোশীয় সংবহন মডেল বলতে কী বোঝো?

১৯৫১ সালে বিজ্ঞানী পলম্যান আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প গঠন করেন যা পলম্যান ত্রিকোশীয় সংবহন মডেল নামে পরিচিত।

এই তথ্য অনুসারে নিরক্ষরেখা থেকে উভয় মেরুর দিকে তিনটি বায়ুকোশে সাধারণ সঞ্চালন দেখা যায় এগুলি হল -

হ্যাডলি কোশ (Hadly Cell)

১৭৩৫ সালে ইংরেজ আবহাওয়াবিদ জর্জ হ্যাডলি নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় এবং উপক্রান্তীয় বলয়ের মাঝে উভয় গোলার্ধে একটি করে চক্রাকার বায়ুকক্ষ লক্ষ করেন যা হ্যাডলি কোশ নামে পরিচিত।

বায়ুর সঞ্চালন
নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঊর্ধ্বমুখী উষ্ণ ও আদ্র বায়ু উপরে ওঠে উভয় গোলার্ধে দুই উপক্রান্তীয় নিম্নচাপ বলয়ে নেমে আসে এবং পরে তা উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ পূর্ব আয়ন বায়ু নামে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে মিলিত হয়ে ITCZ গঠন করে।

ফেরেল কোশ ( Ferel Cell)

১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী ফেরেল কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে মেরূবৃত্তীয় উচ্চচাপ বলয়ের মধ্যে বায়ুর যে চক্রাকার আবর্তন লক্ষ্য করেন তা ফেরেল কোশ নামে পরিচিত।

বায়ুর সঞ্চালন
কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে বায়ু যথাক্রমে দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু ও উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু নামে সুমেরীয় ও কুমেরিয় বৃত্তদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ে পৌঁছায় ও পরে ঊর্ধ্বগামী হয়ে উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ে নেমে আসে।

মেরু কোশ (Polar Cell)

উভয় গোলার্ধে সুমেরীয় ও কুমেরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের মধ্যে বায়ুর যে চক্রাকার আবর্তন লক্ষ্য করা যায় তাকে মেরু কোশ বলে।

বায়ুর সঞ্চালন
 সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় থেকে বায়ু যথাক্রমে উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু নামে দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ে এসে পৌঁছায় ও পরে ঊর্ধ্বগামী হয়ে দুই মেরু অঞ্চলে নেমে আসে।
■ More Posts from -
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url