আদি মধ্যযুগের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন এর কবি কে? বড়ু চন্ডীদাস এর কবি প্রতিভা আলোচনা করো।

আদি মধ্যযুগের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন এর কবি কে? বড়ু চন্ডীদাস এর কবি প্রতিভা আলোচনা করো।

আদি মধ্যযুগের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন এর কবি কে? বড়ু চন্ডীদাস এর কবি প্রতিভা আলোচনা করো।

আদি মধ্যযুগের নিদর্শন হল শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন। কবি হলেন বড়ু চন্ডীদাস।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন আত্মপ্রকাশের পর বাঙালি মানুষের এক অপূর্ণ কৌতুহল জেগে উঠে পদাবলীর চন্ডীদাস এবং শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের বড়ু চন্ডীদাস কে কেন্দ্র করে। পদাবলী চণ্ডীদাস মরমিয়া মিষ্টিক ধরনের কবি আর বুড়ো চন্ডীদাসের নাটক গীতিতে সেই আধ্যাত্ম লোকের দুর্গম তীর্থের কোন ঠিকানা নেই বরং মানব-মানবীর প্রেমের চেনা সুরটিকেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ পদাবলী শ্যামল কিশোর প্রেম বিভোর নায়ক নয়। বড়ু চন্ডীদাসের হাতে শ্রীকৃষ্ণ এক চতুর শিরোমণি এক নষ্ট কিশোরের রূপান্তরিত হয়েছে। শ্রীরাধার মধ্যেও চন্দনচর্চিত বৈষ্ণবীয় রাধিকা ছবিটিকে আমরা পাইনা। বড়ু চন্ডীদাস বৈষ্ণবের হিরণময় পাত্রে হিরণময় মর্ত্য ক্লেহের রসটিকে পরিবেশন করতে চেয়েছেন। তিনি যুগ রুচি এবং যুগ চাহিদাকে স্থান দিয়েছেন তাই তত্ত্ব কে দূরে সরিয়ে লৌকিক মানব-মানবীর প্রেম-বিরহের বাস্তব রূপটিকেই তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন যা রোমান্টিক প্রেমের সার্থক সূচনা।

চরিত্র চিত্রণে তার বাস্তব বোধ ও মানব চরিত্রের সহজ স্বাভাবিক আকর্ষণ তার কাব্যের একটি বাড়তি গুণ। চরিত্র বর্ণময় কথাও অকপটের তার আশ্রয় নেননি। বড়াই চরিত্র নির্মাণে তিনি অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়েছেন। কাব্যটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শ্রীকৃষ্ণকীর্তন যখন প্রেমের উপল বন্ধুর পথ পেরিয়ে মহাসম্মিলনের পথ প্রস্তুত করেছে তখনই শ্রী কৃষ্ণ রাধাকে ভুলে চিরতরে মথুরায় পাড়ি দিয়েছে। মর্ত্য রসের সঙ্গী এখানেই বিরহের স্বর্গলোকে উপনীত হয়েছে। এখানেই বড়ু চন্ডীদাসের মানষ ধর্মের সঙ্গে পদাবলী সাহিত্যের স্বরূপ ধর্মের সামঞ্জস্য।

    এই চ্যাপ্টারের আরো অন্যান্য প্রশ্নগুলিও দেখুন

Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।