প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে বাংলা ভাষা উদ্ভবের ইতিহাসটি আলোচনা করো।
প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে বাংলা ভাষা উদ্ভবের ইতিহাসটি আলোচনা করো।
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ শতকে আর্য ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী ভারতে এসেছিল। তারা যে ভাষায় কথা বলত তারই একটি মার্জিত সাহিত্যিক রুপের সন্ধান পায় বৈদিক সংহিতা গুলিতে। তারি সংস্কার করে একসময় তৈরি হলো সাহিত্যের অন্য একটি ভাষা। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত এই যে ভাষারূপ এর নাম প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা।
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে থেকে ভাষার আরো রূপান্তর হয়ে চলল খ্রি: দশম শতক পর্যন্ত। দীর্ঘকাল বিস্তৃত এই ভাষা প্রবাহকে বলা হয় মধ্য ভারতীয় আর্য। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে মধ্যভারতীয় আর্যের বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ গড়ে ওঠে। ভারতের পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত এরকম একটি আঞ্চলিক রূপের নাম মগধী প্রাকৃত, মাগধী প্রাকৃতের পরিবর্তিত রূপ হল মাগধি অপভ্রংশ। এর আবার দুটি শাখা একটি শাখা থেকে জন্ম নেয় ভোজপুরি, মৈথিলী প্রভৃতি ও আর একটি শাখা থেকে জন্ম নেয় বাংলা, ওড়িয়া, অসমীয়া।