WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now
YouTube Channel
Subscribe

সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য লেখ

রূপগত, ধ্বনিগত ও বাক্যরীতিগত দিক থেকে সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য লেখ ।


সাধু ও চলিত ভাষার মধ্যে পার্থক্য
পার্থক্যের বিষয় সাধু ভাষা চলিত ভাষা
i. ধ্বনিগত পার্থক্য  1. সাধু ভাষায় কখনো কখনো অপিনিহিতির প্রয়োগ দেখা যায়।

যেমন - করিয়া -> কইরা
 1. চলিত ভাষায় কখনোই অপিনিহিতির প্রয়োগ দেখা যায় না। পরিবর্তে অভিশ্রুতি ও স্বরসঙ্গতির ব্যবহার দেখা যায়।
যেমন - করিয়া -> কইরা -> করে
   1. সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ গুলো দীর্ঘ হয়।
করিয়াছিল -> করেছিল
 1. চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ গুলো সংক্ষিপ্ত হয়।
   2. সাধু ভাষায় সর্বনামের দীর্ঘরূপ দেখা যায়।
তাহার -> তার
 2. চলিত ভাষায় সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ দেখা যায় না।
 ii. রূপগত পার্থক্য  3. তৎসম শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়।
মস্তক -> মাথা
 3. চলিত ভাষায় তদ্ভব শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়।
   4. সাধু ভাষায় যৌগিক ক্রিয়ার ব্যবহার দেখা যায়।
 4. চলিত ভাষায় একক সরল ক্রিয়ার ব্যবহার দেখা যায়।
   5. সাধু ভাষায় প্রাচীন অনুসর্গের ব্যবহার দেখা যায়।
নিমিত্ত -> জন্য
 5. চলিত ভাষায় অনুসর্গ হিসাবে নতুন শব্দের ব্যবহার দেখা যায়।
   1. সাধু ভাষায় কর্তা, কর্ম ক্রিয়া এই বিন্যাস সুদৃড়।
যেমন -> তিনি গ্রন্থ পাঠ করিতেছেন
 1. কিন্তু চলিত ভাষায় এই বিন্যাস সুদৃড় নয় বরং অনেকটা নমনীয়।
যেমন - রবীন্দ্রনাথ পূর্ণতার পুজারি ছিলেন
 Iii. বাক্যরীতি গত পার্থক্য 2. এই ভাষায় অলংকার এর ব্যবহার দেখা যায়।
যেমন -> পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি
 2. এই ভাষায় অলংকারের ব্যবহার দেখা যায় না।
   3. সাধুভাষা বিলম্বিত লয় যুক্ত, গুরুগম্ভীর।
উদা - ক্ষান্ত করো অতীতের গৌরবের কথা
 3. কিন্তু চলিত ভাষার লয় দ্রুত সহজ সরল ও বোধগম্য।
উদা - বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান
■ More Posts from -
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url