WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now
YouTube Channel
Subscribe

নব্য বেদান্তবাদ কি? এক্ষেত্রে বিবেকানন্দের ভাবনা ব্যক্ত করো।

নব্য বেদান্ত বাদ কি? এক্ষেত্রে বিবেকানন্দের ভাবনা ব্যক্ত করো।


ভূমিকা:

ভারতের খাঁটি আধ্যাত্মবাদী, নিখাদ দেশপ্রেমী ও জাতীয়তাবাদের সূত্র প্রতীক ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। ধর্মীয় ক্ষেত্রে তিনি বেদান্ত আদর্শ প্রচার করেন তার নব্য বেদান্তবাদ নামে পরিচিত।

প্রেক্ষাপট: 
উপনিবেশিক শাসনকালে ভারতীয়দের দুঃখ দারিদ্র্য ও হতাশার করুণ চিত্র ভারত ভ্রমণ করে তাকে ব্যতীত করেছিল। অপরদিকে রামকৃষ্ণের ধর্মীয় উপদেশ বলে নববিধান এই প্রেক্ষাপট রচনা করেছিলেন।

লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য: 

তার নব্য বেদান্তবাদের মূল লক্ষ্য ছিল জীব সেবা অর্থাৎ অসহায় আর্তের সেবা করার মধ্য দিয়ে নবরুপি জ্ঞানে জীব সেবা। তার দৃষ্টিতে আচার-অনুষ্ঠান হল ধর্মের গৌণ দিক, মুখ্য দিক হলো জীবসেবা।

নব বেদান্ত আদর্শ: 
নব্য বেদান্ত বাদ দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন ব্রাহ্ম আত্মা পৃথক কিছু নয় অর্থাৎ এই জগতে পৃথক কোন অস্তিত্ব নেই। সাধারণ মানুষের সেবা করাই হল ব্রাহ্মণের সেবা করা। তিনি আত্মার যুক্তির জন্য সমাধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব নেওয়ার কথা বলেন।

মুক্তির পথ: 
স্বামীজি তাঁর নব্য বেদান্ত বাদের মাধ্যমে মানুষকে নতুন পথ দেখান। ভারতের দারিদ্র্য, অশিক্ষা, অস্পৃশ্যতা, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই এর জন্য তিনি ভারতবাসীকে হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেন। তার নব্য বেদান্ত বাদের অভিমুখ ছিল জগতের কল্যাণে নিজের যোগ্যতা এবং সকল জীবের সেবা করা।

চিকাগো সম্মেলন: 
স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা শিকাগো সম্মেলনে ধর্ম সম্মেলনে বলেন ভারতের সনাতন হিন্দু ধর্মের অদ্বৈত বেদান্তের বিশ্বজনীন আদর্শ ও বিশ্বজনীন মানব প্রেমের আদর্শ তুলে ধরেন।

মূল্যায়ন: সুতরাং নিম্নে প্রসঙ্গত হবে যে নব্য বেদান্তবাদের এর মধ্য দিয়ে তিনি হিন্দু ধর্মকে সঠিক পথে চালিত করতেও হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করতে এবং বিশ্বে মানবকল্যাণে আদর্শ ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। যার মূল কেন্দ্র বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। (১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে)

নিচের প্রশ্ন গুলি দেখে রাখুন :
■ More Posts from -
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url