মেঘদুত কাব্যে পূর্ব মেঘ ও উত্তর মেঘ সম্পর্কে আলোচনা করো | দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্ন উত্তর

মেঘদুত কাব্যে পূর্ব মেঘ ও উত্তর মেঘ সম্পর্কে আলোচনা করো

প্রেম মূলক গীতিকাব্য হিসাবে কালিদাসের মেঘদূত' বিশ্ব বন্ডিত। আদ্যপ্রান্ত মন্দাক্রান্তা ছন্দে নিবন্ধ প্রায় শতাধিক পদের রচিত এই কাব্যটি পূর্বমেঘ ও উত্তরমেঘ দুইটি অংশে বিভক্ত। কাব্যটি নিতন্ত বস্তু ও ভারহিন প্রিয়া বিরহে দীর্ঘশ্বাসে প্রিয়া মিলনে শ্রুতি আকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ।

পূর্ব মেঘের বিষয়বস্তু হলো

কোন এক যক্ষ কর্তব্যকর্মে অবহেলার জন্য প্রভু কুবের কর্তিক নির্বাচিত হয়ে রামগিরি পর্বতে কালযাপন করেছিলেন কোনো ক্রমে। ইত্যবসতে এল বর্ষা।আষাঢ়ের প্রথম দিনে আকাশে এক খন্ড কালো মেঘ দেখে ব্যাকুল হৃদয়ে বিরহী যক্ষ চেতনে-অচেতনে ভুলে মেঘকে প্রিয়ার নিকট বার্তা পাঠানোর জন্য নিয়োগ করলেন এখানে কবি রামগিরি থেকে অলকাপুরী পর্যন্ত পথের বর্ণনা মুখে মেঘের উদ্দেশ্যে দিয়েছেন ,সেই পথে রস ও সৌন্দর্যের বিচিত্র সমাবেশের সঙ্গে কলারতের কামনার প্রতিফলন ঘটেছে কবির রামগিরি সানুদেশ থেকে উজ্জয়িনীর মধ্য দিয়ে বহু নদী পার হয়ে অলকার স্বপ্নপুরীতে যাওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন দূতমেঘকে পূর্ব মেঘে এভাবে পথের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উত্তর মেঘের বিষয়বস্তু হলো -

উত্তর মেঘে আছে অলকাপুরীর এর বর্ণনা স্বর্গতুল্য এই অলকাপুরীতে দুঃখ নেই দারিদ্র্য নেই তার সঙ্গে যক্ষপ্রিয়ার রাপো লাবণ্য তার বর্ণনা, এরপর জানিয়েছে যে মেঘ যেন শিশির যথিতা, মৃণালিনী, প্রাচী মূলে শীর্ণ চন্দ্রকলা, মলিনবসনা একবেনি ধরা সেই বিরহোনির কোলে রাখা বিনার তারগুলি চোখের জলে ভেজা বিনিদ্র রজনী যাপনের দুঃখ চোখে খোলা ঠোঁটদুটি মলিন, অবশেষে যক্ষ মেঘকে অনুরোধ করেছে পত্নীর কাছে কুশল সংবাদ নিবেদন করতে এবং বলতে বলেছেন এই দুঃখের দিন অবশ্যই কেটে যাবে মানুষের সুখ-দুঃখ চিরকাল সমান যায় না।

অবশেষে যক্ষ তার বার্তা বাহনের প্রতিদানস্বরূপ কিছু দেওয়ার অক্ষমতা প্রকাশ করে কেবল নিজের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে বলেছেন যে "মেঘকে যেন ক্ষণকালের জন্য ও তার প্রিয়তমা বিদ্যুৎ এর বিচ্ছেদ না সহ্য করতে হয়"।
Next Post Previous Post
WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now
YouTube Channel
Subscribe
Subscribe on YouTube Subscribe our Youtube Channel
Join Telegram Group Join our Telegram Group
Join WhatsApp Channel *Don't worry, Your mobile number is totally safe.