সুমেরীয় সভ্যতা জীবনযাত্রা কেমন ছিল?
আনুমানিক 8000 খ্রিস্ট পূর্বাব্দ পৃথিবীর এই প্রাচীনতম সভ্যতার জন্ম। এই মেসোপটেমিয়া সভ্যতা উত্তর এবং দক্ষিণ অংশ ব্যাবিলনীয় নামে পরিচিত । ব্যাবিলনএর উচ্চ অংশ আক্কাদ নামে পরিচিত এবং নিম্ন সুমির নামে পরিচিত।
সুমেরীয় সভ্যতার নগর পরিকল্পনা
আদিকালে এটি এক জঙ্গল কালীন জলাভূমি ছিল। এখানকার আদিবাসীরা জঙ্গল পরিষ্কার করে উঁচু স্থানগুলিতে বসতি গড়ে তুলতে থাকে ক্রমে তা এক উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
নির্মাণ পরিকল্পনা
সুমেরীয় সভ্যতার নগর ও জনপদ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এক একটি জনপ্রিয় অসংখ্য বাড়ি মন্দির ও রাস্তাঘাট নির্মিত হত।
নিরাপত্তা
সুমেরীয় নগরকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে উচ্চ প্রাচীর দিয়ে ঘিরে সুরক্ষিত করা হতো, সেনাবাহিনীর প্রধান নগর পাহারায় নিযুক্ত থাকতো।
ঘরবাড়ি
পাথর বা কাঠ অপেক্ষায় নির্মিত বাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এই সভ্যতার অধিকাংশ বাড়ি ছিল গম্বুজাকৃতি, এখানে একতলা বাড়ির অস্থিত্ব ছিল।
রাস্তাঘাট
সুমেরীয় সভ্যতা রাস্তাঘাট ছিল যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ইট দিয়ে বানানো রাস্তার দু'ধারে বাড়ি গুলির মধ্যে ব্যবধান ছিল খুবই কম।
শাসন ব্যবস্থা
রাজা ও পুরোহিত শ্রেণী সুমেরীয় নগরগুলি শাসন পরিচালনা করতেন। অভিজাত দিয়ে গঠিত কাউন্সিল প্রভূত ক্ষমতা ভোগ করত। শাসনব্যবস্থা দমন-পীড়ন অন্যান্য আকৃতি ছিল সাধারণ বিষয়।
সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতা
সুমেরীয় সভ্যতার অধিবাসীরা শিক্ষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটিয়েছিল।
চিত্রলিপি
সুমেরীয় সর্বপ্রথম লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকে তারা ছবি এঁকে মনের ভাব প্রকাশ করত এগুলি চিত্রলিপি নামে পরিচিত। এই লিপি বহু দূরবর্তী এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছিল।
সাহিত্য
প্রাচীন সাহিত্য অভূতপূর্ব উন্নতি হয় গিলগামেশ মহাকাব্য 2000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ রচিত পৃথিবীর প্রাচীনতম পৌরাণিক কাহিনী ও সাহিত্যকর্ম।
শিল্প
এছাড়া পোড়ামাটির অলংকার পাত্র তাদের শিল্পের পরিচয় ছিল। বস্ত্র বয়ন শিল্পে এই সভ্যতার উৎকর্ষে পৌঁছেছিল।