* কিভাবে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আদিম মানুষ শিকারী খাদ্য সংগ্রহ থেকে স্থায়ী বসবাস করতে পরিণত হয়?
🟢 হাতিয়ার---
আধুনিক মানুষের অভাব এর আগেই অন্য মানুষের উন্মুক্ত হাতিয়ার ছিল। তারা পাথর ও লাঠি ব্যবহার জানতো এর বেশি ব্যবহার জানত না। মানুষ পরিবর্তিত কালো পাথর দিয়ে নানা রকম হাতিয়ার তৈরি করে যুগের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাতে আরো উন্নত হয়।
🟢 পশু শিকারের অংশগ্রহণ---
আদিম মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার। শিকারী অংশগ্রহণ করত, বনে সিংহ ও বন্য পশুকে হত্যা করা সম্ভব নয় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই দলবদ্ধ ভাবে পশু শিকাররের উপলব্ধি করা হয়। এই ভাবেই দলবদ্ধভাবে শিকার করতে থাকে।
🟢 দলবদ্ধ ও গোষ্ঠীবদ্ধ ---
ক্রমে আন্তরিক গোষ্ঠীর জন্ম হল, প্রতিটি মানব গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট এলাকার স্বীকার করতে, কখনো খুব বড় শিকার করার ক্ষেত্রে এরা দলবদ্ধ হয়ে কাজ করে।
🟢 সংবন্টন
শিকারের পর তারা প্রাপ্ত মাংস সমানভাবে ভাগ করে নিত। প্রথম দিকে ওরা কাঁচা মাংস খেত, আগুন ব্যবহার শিখে আগুনে পুড়িয়ে মাংস খাওয়ার অভ্যাস করে।
🟢 নারীর খাদ্য সংগ্রহ--
আদিম মানুষেরা যখন হাতিয়ার দিয়ে পশুর মাংস সংগ্রহ চেষ্টা চালাত তখন নারীরা নিকটবর্তী জঙ্গল থেকে ফলমূল শাকসবজি সংগ্রহ করতো তাদের পরিবারের জন্য এবং এইগুলি রাখার জন্য মাটির পাত্র তৈরি করত।
🟢 পশুপালন---
পরবর্তী যুগে মানুষ ধীরে ধীরে পশু পালনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল । তারা ভেবে দেখল বনের পশুকে একসাথে না মেরে তাদের পালন করে তার থেকে মাংস, দুধ সংগ্রহ করা যায় তাই তারা পশুপালন শিখল ।
🟢 লোম ও হাড় সংগ্রহ---
প্রথম দিকে মানুষ পশুর লোম কে নিজের গায়ে ঢেকে লজ্জা নিবারণ করত । তারপর লোম দিয়ে কাপড় বোনায় সেগুলো শীত থেকে রক্ষা পাওয়া যেত।