আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট্য

আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট্য - একাদশ শ্রেণীর এডুকেশন/ শিক্ষা বিজ্ঞান

1. নির্বাচন ধর্মী :-

পাঠক্রম স্বয়ং এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা নয় কারণ পাঠক্রমকে নির্বাচিত করতে হয় এবং নির্বাচিত বিষয়বস্তু গুলিকে সুসংগঠিত করতে হয়।

2. পরিবর্তনশীল:-
 সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর পরিবর্তন ঘটে, তার কারণ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে সমাজ জীবনে উপযোগী করে তোলায় তার সামাজিক সচেতনতা ও মূলবোধগুলি ক্রমশ পরিবর্তিত হয়।
 
3. আদর্শ মূলক :-
পাঠক্রম রচিত হয় কতগুলি নীতির উপর ভিত্তি করে। যেমন শিক্ষার্থীর চাহিদা সমর্থন এবং সামাজিক চাহিদার ওপর, সেই সঙ্গে বৈজ্ঞানিক ও মনো বৈজ্ঞানিক যুক্তির উপর ভিত্তি করে পাঠক্রম।

4. পূর্ব পরিকল্পিত বিষয়:-
প্রত্যেক শ্রেণীর পাঠক্রম সুপরিকল্পিত উপায়ে শিক্ষার্থীদের বয়স, চাহিদা, পরিমাণ, মানসিক ক্ষমতা এমনকি বিকাশ গত বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে পূর্ব থেকেই নির্ধারিত থাকে।

5. প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিত:-

আদর্শ পাঠক্রম রচনার জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় তাই পাঠক্রম নির্ধারণ কার্যে দর্শন, মানসিকতা, সমাজবিজ্ঞান, শিক্ষাবিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।

6. মনোবিজ্ঞান সম্মত:-
আধুনিক শিক্ষা যেহেতু শিশু কেন্দ্রিক তায় এখানে পাঠ্যক্রম অবশ্যই মনোবিজ্ঞান সম্মত। মনোবিজ্ঞানিক নীতি কে আশ্রয় করে পাঠক্রমের নীতি নির্ধারিত হয়।

7. তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক:-
পাঠক্রমের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হলো তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক। শিক্ষার্থীকে উন্নত জীবন দর্শনের অধিকারী করে তোলার জন্য পাঠক্রমে যেমন তাত্ত্বিক দিক থাকে, তেমনি হাতে কলমে বাস্তবিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য ব্যবহারিক বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকে।

মূল্যায়ন:-
 সুতরাং আধুনিক চিন্তাবিদদের মতে বিষয়বস্তু, পদ্ধতি, উদ্দেশ্য এবং মূল্যায়ন এই চারটির সমন্বয় ই হল পাঠক্রম। শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ ঘটানোর জন্য সুসম্মতি ও সু সামান্য জস্য পূর্ণ উপযোগী উপাদানই হলো পাঠক্রমের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
Next Post Previous Post
WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now
YouTube Channel
Subscribe
Subscribe on YouTube Subscribe our Youtube Channel
Join Telegram Group Join our Telegram Group
Join WhatsApp Channel *Don't worry, Your mobile number is totally safe.