WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now
YouTube Channel
Subscribe

গঙ্গার মাহাত্ম্য সংক্ষেপে লেখো। দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত | Class 12 Sanskrit

গঙ্গার মাহাত্ম্য বর্ণনা করো

হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক দার্শনিক কবি শংকরাচার্য গঙ্গা স্ত্রোতম গঙ্গার প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে তাকে একাধিক বিশেষণে বিশেষিত করে। তার মহাত্ম কীর্তন করেছেন পাঠকসমাজের কাছে।

মাত গঙ্গা অভড় প্রদায়িনী রুপে স্বর্গের কল্পতরু বৃক্ষের ন্যায় পৃথিবীর মানুষজন যা চায় তাই দেন। ফলস্বরূপ পৃথিবীতে সুখ-সমৃদ্ধির স্বাচ্ছন্দ বিরাজমান । সুখ সমৃদ্ধির প্রদানকারি রুপে গঙ্গা কে  আশ্রয়ীকারি বলা হয়েছে ।

দেবতাদের ঈশ্বরী রুপে ভগবতী গঙ্গার একাকীত্ব নিয়ে তাকে সম্বোধন করা হয়েছে। তিনি শুধু  সুরেশ্বরী নয় ত্রিভুবন তারিণী রূপেও ত্রিলোক তথা ত্রিভুবনের দুষ্কর্মকারী পাপীদের উদ্ধার করে পৃথিবীতে পবিত্র রাখে। এই পতিত পাবনী গঙ্গা পবিত্র জলের আশ্রয়কারী  তথা পতিত মানুষের উদ্ধারকারী ও  নরক নিবারিনি রূপে ত্রিভুবন ধন্যা।

গঙ্গার পবিত্র জল পানকারীরা পরমপদ অর্থাৎ মোক্ষলাভ করে। ফলস্বরূপ সেই সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে অর্থাৎ মাতৃগর্ভে আর জন্মগ্রহণ করে না ,তারা ভবসাগর থেকে উদ্ধার পায়। সেই জন্য রবি সংকর আচার্য ভাগীরথী সুখদায়িনী মাত গঙ্গা কে সম্বোধন করেছেন। কারণ গঙ্গা মায়ের নেই পৃথিবী সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা সন্তানদের অন্য যোগান দিয়ে প্রদান করেন । এমনকি দয়াময় গঙ্গা প্রিয় মানুষদের থেকে উদ্ধার করেন।

এই একাধিক মহিমায় অমৃত ফল প্রদায়িনী গঙ্গার পরম ভক্ত আশ্চর্য শংকরাচার্য। একাধিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে গঙ্গার মহিমা কীর্তন এর রূপ স্তুতি করেছেন।
■ More Posts from -
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url