নদীর কার্যের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ ( ছোট প্রশ্ন ) | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
1. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা কোনটি ?
উ : বিশ্বের বৃহত্তম নদী অববাহিকা হলো আমাজন নদী অববাহিকা ।
2। ভারতের বৃহত্তম নদী অববাহিকা কোনটি ?
উ : ভারতের বৃহত্তম নদী অববাহিকা হলো গঙ্গা নদীর অববাহিকা ।
3। জলবিভাজিকা কি ?
উ : পাশাপাশি অবস্থিত দুটি নদী অববাহিকা পরস্পর থেকে যে উচ্চভূমি দ্বারা পৃথক থাকে তাকে জলবিভাজীকা বা water divine বলে ।
যেমন - মধ্যপ্রদেশের অমর কণ্টক পর্বত সোন ও নর্মদা নদীর মধ্যে জলবিভাজিক।
4। নদীর কাজ কয় প্রকার ?
উ : নদীর কাজ তিন প্রকার - ক্ষয় কাজ , বহন কাজ ও সঞ্চয় কাজ ।
5। নদীর কাজ করার ক্ষমতা কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
উ : নদীর কাজ করার ক্ষমতা প্রধানত 4 টি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল । যথা - ভূমির ঢাল, জলের গতিবেগ, জলের পরিমাণ, জলধারায় অবস্থিত নুড়ি ও প্রস্থর খন্ডের পরিমাণ ।
6। নদীর অবঘর্শ ক্ষয় কাকে বলে ?
উ : নদীবাহিত সিলাখন্ডের সঙ্গে নদিখাত ও নদীর পাড়ের ঘর্ষণে নদীর তলদেশ ও পার্শ্ব দেশ দ্রুত ক্ষয় পায় । একে নদীর অবঘর্শ ক্ষয় বা attrition বলে ।
7। নদীর পরিবহন প্রক্রিয়া কয় ভাবে সম্পন্ন হয় ?
উ : নদীর পরিবহন প্রক্রিয়া 4 প্রকার - 1. আকর্ষণ প্রক্রিয়া, 2. ভাসমান প্রক্রিয়া, 3. লম্ফদান প্রক্রিয়া, 4. দ্রবণ প্রক্রিয়া ।
8। নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে তার বহন ক্ষমতা কেমন হবে ?
উ : নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে তার বহন ক্ষমতা (2)6 গুন অর্থাৎ 64 গুন বৃদ্ধি পায় ।
9। নদীর জলের পরিমাণ দ্বিগুণ হলে বহন ক্ষমতা কেমন হবে ?
উ : নদীর জলের পরিমাণ দ্বিগুণ হলে বহন ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে ।
10। গঙ্গা নদীর উৎস কোথায় ?
উ : গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমূখ নামক তুষার গুহা থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি ।
11। 1টি V আকৃতির উপত্যকার উদাহরণ দাও ?
উ : নেপালের কালি নদীর গিরিখাত ।
12। পৃথিবীর দীর্ঘতম গিরিখাত কোনটি ?
উ : কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম গিরিখাত । এর দৈর্ঘ্য প্রায় 446 কিমি ।
13। বিশ্বের গভীরতম গিরিখাত কোনটি ?
উ : নেপালের কালিগন্ডকি নদীর উপর কালী গণ্ডকী গিরিখাত হলো বিশ্বের গভীরতম গিরিখাত । এর গভীরতা প্রায় 5.5 কিমি ।
14। ভারতের বৃহত্তম নদিচর কোনটি ?
উ : ব্রহ্মপুত্র নদের মাজুলি দ্বীপ হলো ভারতের বৃহত্তম নদীচর ।
15। পৃথিবীর বৃহত্তম নদিচর কোনটি ?
উ : পৃথিবীর বৃহত্তম নদিচর হলো আমাজন নদীর ইলহা দ্য মারাজো ।
16। বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ কোনটি ?
উ : গঙ্গা - ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপ হলো বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ ।
17। পক্ষ্মীপাদ বদ্বীপের একটি উদাহরণ দাও ।
উ : মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ ।
18। দোয়াব কি ?
উ : দুটি নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল হলো দোয়াব ।
19। গঙ্গা নদীর গতিপথ গুলি লেখো ।
উ : গঙ্গা নদীর উৎস গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত হলো উচ্চগতির , হরিদ্বার থেকে বিহারের রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত মধ্যগতি এবং রাজমহল থেকে মোহনা পর্যন্ত নিম্নগতি ।
20। ভারতের একটি অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের উদাহরণ দাও ।
উ : মুর্শিদাবাদের মতিঝিল ।
21। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নাম কি ?
উ : সুন্দরবন হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ।
22। কোন্ নদীর মোহনায় কোনো বদ্বীপ নেই ?
উ : আমাজন ও কঙ্গো নদীর মোহনায় কোনো বদ্বীপ নেই ।
23। পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাতের নাম কি ?
উ : ভেনেজুয়েলার অ্যাঙ্গেল হলো পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত ।
24। পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী কোনটি ?
উ : নীলনদ হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী ।
25। মন্থকূপ সৃষ্টি হয় ______ এর ক্ষয় কার্যের ফলে ।
উ : নদীর
26। পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত কোনটি ?
উ : নায়াগ্রা জলপ্রপাত পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত ।
27। পুল কাকে বলে ?
উ : অবতল পাড়ের দিকে নদীর খাতের গভীর অংশ জলপূর্ণ হলে তাকে পুল বলে ।
28। পৃথিবীর বৃহত্তম নদিগঠিত দ্বীপ কোনটি ?
উ : পৃথিবীর বৃহত্তম নদীগঠিত দ্বীপ হলো মাজুলী ।
29। নিউমুর দ্বীপটি জলমগ্ন হতে শুরু করে যে ঘূর্ণিঝড় থেকে --
উ : ভোলা ।
30। নদিপ্রবাহ পরিমাপের একক কি ?
উ : নদিপ্রবাহ্ পরিমাপের একক হলো কিউসেক ।
31। কোন নদী পৃথিবীর সর্বাধিক জল বহন করে ?
উ : আমাজন ।
32। নিউমূর, ঘোড়ামারা দ্বীপগুলোর নিমজ্জনের প্রধান কারণ কোনটি ?
উ : সমুদ্র জলতলের বৃদ্ধি ।
33। ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাতের নাম কি ?
উ : ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাতের নাম যোগ জলপ্রপাত ।
34। আঁকাবাঁকা নদীর গতিপথ কে কি বলে ?
উ : আঁকাবাঁকা নদীর গতিপথ কে মিয়েন্ডার বলে ।
35। ফানেল আকৃতির নদীর মোহনা কে কি বলে ?
উ : খাঁড়ি ।
36। নিউমূর্ দ্বীপটি কোন নদীর মোহনায় অবস্থিত ?
উ : নিউমুড় দ্বীপটি হাড়িভাঙ্গা নদীর মোহনায় অবস্থিত ।
37। আদর্শ নদী কাকে বলে ?
উ : যে নদীর গতিপথে উচ্চগতির, মধ্যগতী ও নিম্নগতি সুস্পষ্ট ভাবে লক্ষ্য করা যায়, সেই নদীকে আদর্শ নদী বলে । যেমন - ভারতের গঙ্গা নদী একটি আদর্শ নদী ।
38। নদীর সস্থঘাতের সূত্র কি ?
উ : নদীবাহিত খোয়জাত পদার্থের পরিমাণ নদীর গতিবেগের সস্থঘাতের সমানুপাতিক । এই সূত্রকে নদীর সস্থঘাতের সূত্র বলে ।
যেমন, ঘণ্টায় 2 কিমি বেগে প্রবাহিত কোনো নদী যে পরিমাণ বোঝা বহন করতে পারে, একই নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে ওই নদী ঘণ্টায় (2)6 অর্থাৎ 64 গুন বেশি পরিমাণ বোঝা বহন করতে সক্ষম হবে ।
39। ধারণ অববাহিকা কাকে বলে ?
উ : অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলধারা খাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে সেগুলিকে নদী বলে । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদী দিয়ে গঠিত হয় মূল নদী । এরকম একটি মূল নদী এবং তার উপনদী ও শাখানদী বিধৌত অঞ্চলকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলে ।
40। গিরিখাত কাকে বলে ?
উ : বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে নদীর গতিবেগ খুব বেশি হয় । এই সময় নদীর নিম্নখয় বেশি হয় । এর ফলে নোদিখাত যথেষ্ট গভীর হয় । নদিখত খুব গভীর ও সংকীর্ণ হতে হতে যখন ইংরেজি অক্ষর 'V' আকৃতির হয়, তখন তাকে গিরিখাত বলে ।
41। মন্থকুপ কি ?
উ : পার্বত্য অঞ্চলে নদীর স্রোতের সঙ্গে বাহিত বড়ো বড়ো পাথরের সঙ্গে নদিখাতের সংঘর্ষের ফলে নদীর বুকে মাঝে মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয় । এগুলিকে মন্থকুপ্ বলে ।
42। কেউসেক কি ?
উ : নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল প্রবাহিত হয়, তাকে কিউসেক বলে ।
43। কেউমেক কি ?
উ : নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘন মিটার জল প্রবাহিত হয় , তাকে মিউসেক বলে ।
44। কাসকেড কি ?
উ : যখন কোনো জলপ্রপাতের জল অজস্র ধারায় বা সিড়ির মতো ঢাল বেয়ে নিচের দিকে নামে , সেই জলপ্রপাত কে কাস্কেড বলে ।
45। অবরোহন প্রক্রিয়াকে ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া বলে কেনো ?
উ : অবরোহণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে । ফলে ভূমি তার প্রকৃত উচ্চতা থেকে নীচু হতে থাকে । সেই কারণেই অবোরহন প্রক্রিয়া একটি ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া ।
46। মধ্যগোতিতে নদীর কাজ কি ?
উ : মধ্যগোতিতে নদী বেশি বহন করে এবং অল্প ক্ষয় করে ও বেশ কিছুটা সঞ্চয় করে ।
47। উচ্চ গতিতে পার্শক্ষয় অপেক্ষা নিম্ন ক্ষয় বেশি হয় কেনো ?
উ : উচ্চ গতিতে নদীর ঢাল বেশি থাকায় নদীর গতিবেগ বেশি হয় । তাই এই অংশে নদী অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয় করে । তাই এই অংশে নদীর নিম্ন ক্ষয় বেশি হয় ।
48। নিক পয়েন্ট কি ?
উ : নদীর পুনর্যৌবন লাভের ফলে নতুন ঢাল ও পুরনো ঢালের সংযোগ স্থলে যে খাঁজ তৈরি হয় তাকে নিক পয়েন্ট বলে ।
49। মধ্যগতিতে নদী চর সৃষ্টি হয় কেনো ?
উ : মধ্য গতিতে নদীর ঢাল কমে যায় ফলে নদীর বহন ক্ষমতা কম হয় । সেজন্য নদীবাহিত পদার্থগুলো নদীগর্ভে সঞ্চয় হতে থাকে । নদীর তলদেশে পলি সঞ্চয়ের জন্যই একদিকে চর জেগে ওঠে।
50। নদীর ক্ষয় সীমা বলতে কি বোঝ ?
উ : নদী ভূপৃষ্ঠে যে উচ্চতা পর্যন্ত ক্ষয় করতে সক্ষম , সেই উচ্চতাকে নদীর ক্ষয় সীমা বলে । সাধারণভাবে নদীর ক্ষয় সীমা হলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ।